
সিউলের একটি ভবনে এসি’র দৃশ্য
গরমে অস্থির পুরো কোরিয়া। প্রভাব পড়ছে সবকিছুতে। রাস্তা ঘাটে বেশিক্ষণ থাকতে চাইছে না মানুষ। আশ্রয় নিচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিংমলে কিংবা ফিরছে বাসাবাড়িতে। তাপমাত্রা সহজেই কমছে না। কোরিয়ার আবহাওয়া অফিস বলছে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে থাকবে।

রাতে হান নদীর তীরে
গরমে বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার। ফ্যান এবং এসি চলছে দিনরাত। আজ সোমবার গরমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নতুন রেকর্ড হয়েছে কোরিয়ায়। কোরিয়া পাওয়ার একচেঞ্জ জানিয়েছে আজ বিকাল তিনটায় ৮০.২২ মিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের নতুন রেকর্ড হয়েছে গরমের সিজনে। এইসময় কোরিয়ার প্রায় সব প্রদেশেই ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা ছিল। তবে সারা বছরের হিসেবে এই বছরের ২২ জানুয়ারী শীতের সময় সর্বোচ্চ ৮২.৯৭ মিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছিল।
পানির পানে ছুটছে মানুষ

গতকাল বুসানের হিয়ন্দে বিচে ছিল প্রচন্ড ভিড়
পানির পানে ছুটছে মানুষ। গত দুই সপ্তাহ ধরে কোরিয়ার বিচ কিংবা নদী যেখানে পানি সেখানেই ভিড়। এমনকি পার্কের ফোয়ারাগুলোতে আনাগোনা বেড়েছে কয়েকগুণ। সাধারণ মানুষের সুবিধার্তে হান নদীর পাশে ব্যবস্থা করা হয়েছে সুইমিং পুলের। বিভিন্ন পার্কে শিশুদের জন্য সাময়িক ফোয়ারার ব্যবস্থা করেছে সিউল সিটি। বেড়েছে পানি খাওয়ার পরিমাণও। আইসক্রিম এবং ঠান্ডা পানীয় কিংবা জুসের দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়।