Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ট্যাম্পাকোয় আরো দুই মরদেহ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮

labour2-sm20160926123646

ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা ও দুপুর ১২টার দিকে কারখানার ধ্বংসাবশেষ সরানো এবং উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা মরদেহ দুটি উদ্ধার করেন।

chardike-ad

জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ১৭ দিন ধরে চলা উদ্ধার কাজে সরকারি হিসাব মতে এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, টঙ্গীর বিসিক নগরীতে বিএনপির সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই কারখানার বিশাল ভবনের অধিকাংশই ধসে পড়ে বিশাল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৬ জন, আহত হয়েছেন ৪০ জন এবং ১১ জন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২৯ জন এবং ৬ জনের পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ ১১ জনের স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএর আলামত নেয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর গাজীপুর জেলা প্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস, বিসিক, বিদ্যুৎ বিভাগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এদিকে, দুর্ঘটনার ১৭তম দিনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। সেনাবাহিনী ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধসে যাওয়া ভবনের বর্জ্যগুলো অন্যত্র সরাচ্ছে।

এদিকে, বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানার মালিক সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেনকে প্রধান আসামি করে টঙ্গী মডেল থানায় এ পর্যন্ত দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

১২ সেপ্টেম্বর কারখানা মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি করেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের বাবা আব্দুল কাদের। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে টঙ্গী মডেল থানার এসআই অজয় চক্রবর্তী বাদী হয়ে কারখানা মালিকসহ ১০ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি  করেন। দুটি মামলা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।