kim

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-নামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দ্বিতীয় এক নারীকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। এর আগে একই ঘটনায় বুধবার অপর এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়।

chardike-ad

সোমবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে খুন করা হয় কিম জং-নামকে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচারিত হয় মঙ্গলবার। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে বুধবার মিয়ানমারে এক নারীকে গ্রেফতার করে মালয়েশিয়ার পুলিশ।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কিম জং-নাম তার পাসপোর্টে কিম চল নাম ব্যবহার করতেন। অবশ্য ওই ব্যক্তি কিম জং-নাম কিনা, তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি মালয়েশিয়া। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তিই কিম জং-নাম। তবে ব্যাপারে এখনো নীরব রয়েছে উত্তর কোরিয়া।

এদিকে দ্বিতীয় ওই নারীকে গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছে মালয়েশীয় পুলিশের মহাপরিচালক খালিদ আবু বকর। তিনি জানান, ‘কোরীয় এক পুরুষকে’ হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে দিন শেষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যে কিম জং-নামের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে তার প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি। বুধবার গ্রেফতার নারীকে শিগগিরই আদালতে তোলা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এ ধরনের হত্যাকাণ্ডকে সোভিয়েত যুগের গুপ্তহত্যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৩ সালে আপন চাচা জাং সাং থায়েকেকে মৃত্যুদণ্ড দেন উন। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে অবশ্য এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়।

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ইল মারা যান ২০১১ সালে। পরে তার ছোট ছেলে এবং কিম জং-নামের সৎভাই কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা হন। এরপর নাম চলে যান আড়ালে। বসবাস করতে থাকেন দেশের সীমানার বাইরে ম্যাকাউ, চীন ও সিঙ্গাপুরে।

এর আগেও ভিন্ন নামে জাপানে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন কিম জং নাম। ২০০১ সালে ভুয়া পাসপোর্টসহ ধরা পড়লে তিনি বলেন, টোকিওতে ডিজনিল্যান্ড দেখতে এসেছিলেন তিনি।

রাষ্ট্রক্ষমতায় বসার সুযোগ হারানোর পর তিনি নানা সময় পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ২০১২ সালে প্রকাশিত এক বইয়ে তিনি সৎভাই কিম জং উনকে নেতা হিসেবে অযোগ্য বলে বর্ণনা করেন। তবে নেতৃত্বে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই বলেও জানান তিনি।