Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে ট্রাম্প: কৌশলগত ধৈর্যের যুগ শেষ

donald-trumpউত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে ‘কৌশলগত ধৈর্য’ ধরার যুগ শেষ বলে আবারও মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে গত শুক্রবার হোয়াইট হাউস রোজ গার্ডেনে দাঁড়িয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা “বেপরোয়া ও বর্বর” উত্তর কোরিয়ার হুমকির মুখোমুখি।…দেশটির পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কড়া জবাব পাওয়া দরকার।’ যদিও ট্রাম্পের এসব কড়া কথাবার্তা সত্ত্বেও তিনি কী করে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

chardike-ad

এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস সতর্ক করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ বিয়োগান্ত ও অবিশ্বাস্য মাত্রার পরিণতি ডেকে আনতে পারে। পিয়ংইয়ংকে চাপে রাখতে এর প্রতিবেশী ও প্রধান বাণিজ্য সহযোগী চীনকে এর আগেও পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন ট্রাম্প। যদিও বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে পরে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।

শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপে আঞ্চলিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আর আলোচনায় ফেরার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুন জে-ইন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মুন জে-ইন উভয়ে জানিয়েছেন, পিয়ংইয়ং তার পরমাণু কর্মসূচি ছাড়তে উদ্যত হবে এমন পরিস্থিতিতেই কেবল তাঁরা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু করতে রাজি আছেন।

এ দিন ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য নিয়ে খুব রূঢ়ভাবে বক্তব্য দেন। বলেন, পূর্বসূরি বারাক ওবামার আমলে পাঁচ বছর আগে সিউলের সঙ্গে করা বাণিজ্য চুক্তি ওয়াশিংটন পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখছে। অর্থাৎ প্রকাশ্যে ওই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তিটি ছিন্ন করার হুমকি দেন তিনি। যদিও এ সময় সিউলের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বন্ধুত্বের সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন ট্রাম্প।

পরে এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প।