Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আমেরিকার ইন্টারনেট বনাম উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট

north-koreaদুনিয়ায় থেকেও বিশ্ব থেকে যেন বিচ্ছিন্ন দেশটির নাম উত্তর কোরিয়া। দেশটিকে নিয়ে বিশ্বের বাকি অংশে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। কিছু দিন পর পরই আমেরিকা বা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব লেগেই থাকে। তাদের যুদ্ধাস্ত্রের ভাণ্ডার নিয়েই যত চিন্তা। এ ছাড়া প্রযুক্তির যুগে সংশ্লিষ্ট বিষয়েও তারা কতটা এগিয়ে তাও বোঝার বিষয়। ধরুন ইন্টারনেটের কথা। উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট ব্যবস্থার সঙ্গে আমেরিকারটার বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। জেনে নিন এর কথা।

১। খুব কম মানুষের ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে: আমেরিকায় প্রায় প্রতিটি মানুষের ইন্টারনেটে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। দাদা-দাদু থেকে নাতি-নাতনী কিংবা দূরের কৃষকও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এর সুবিধা নিয়ে রাস্তার কোনো অদ্ভুত মানুষটিও কিন্তু বড় কোনো অনলাইন স্টোরের মালিক বনে গেছেন। কিন্তু সিএনএন বলছে, উত্তর কোরিয়ায় ১০০০টি আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে বলে জানা গেছে। এবার আমেরিকার ১.৫ বিলিয়ন আইপি অ্যাড্রেসের সঙ্গে এর পার্থক্য নিজেই করুন। যদি তাদের ফেসবুকও থাকে, সেখানে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসতে পারে কেবল কিম জং-উন এর কাছ থেকে। আর তাকে মেসেজ বা পোক করার কথা কি আপনি চিন্তা করেন?

chardike-ad

২। আসলেই খুব ছোট: আমেরিকায় গুগলে কিছু একটা লিখে সার্চ দেন। হাজার হাজার ফলাফল চলে আসেব। ইউটিউবের ভিডিও তো রয়েছেই। সামান্য বিস্তৃত ইন্টারনেট রয়েছে উত্তর কোরিয়ায় যার নাম ‘ব্রাইট’। সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে মাত্র সাড়ে ৫ হাজার সাইট রয়েছে। সেখানকার মানুষ এই সাইটগুলোতে ঢুঁ মারেন কেবল পড়াশোনা ও সরকারি তথ্য পেতে। প্রতিবেদনের ভাষায়, উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট মূলত প্রচারণামূলক। এটা বিনোদন বা তথ্যের সম্ভার নয়।

৩। গুগল নেই: এই সার্চ দানব তো বটেই, আমেরিকায় আরো বেশ কয়েকটি বড় বড় সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। ইয়াহু!, বিং ছাড়াও আরো আছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ায়? সেখানে গুগল নেই। ওদেরটা অনেকটা ফায়ারফক্সের মতো সার্চ ইঞ্জিন। এর মাধ্যমে খুব বেশি জিনিস অবধি পৌঁছানো যায় না। সেখানে যারা ব্যবহার করেন, তারা কিম জং-উনের ছুটি কাটানোর ছবি ছাড়া তেমন কিছুর দেখা পান না।

৪। সত্যিকার ইন্টারনেট অল্প কিছু মানুষের জন্য: উত্তর কোরিয়ার গড় মানুষের জন্য ইন্টারনেট নেই। যাদের আছে তারা নিয়ন্ত্রণের বেড়াজালে থাকেন। তবে বিশ্বস্ত গুটিকয়েকের জন্য ইন্টারনেটের পুরো ব্যবস্থা রয়েছে। তার মানে এই নয় তারা ইচ্ছে করলে যা মন চায় তাই করতে পারেন।

৫। সবকিছু ফিল্টার হয় চীনে: এটা ঠিক যে আমেরিকায় মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নজরদারি করা হয়। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ কাজ করে থাকে। কিন্তু তার প্রভাব খুব কমই দৃশ্যমান হয়। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট থেকে যা বেরিয়ে আসে তার সবই ফিল্টার হয় চীনে। আপত্তিকর কিছু থাকলে তার কাটছাঁট চীনেই করা হয়। সূত্র: চিট শিট