Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আড়ংয়ের বিরুদ্ধে আবারো প্রতারণার অভিযোগ

arongঈদের ১৫ দিন আগে একটি পোশাকের দাম দুই হাজার ৩৬১ টাকা হলেও ঠিক ১০ দিন পর ওই পোশাকটির দাম চার হাজার ২৫২ টাকা। এটি অংক কষবার জন্য কোনো কাল্পনিক ঘটনা নয়, বাস্তবতা। ঈদকে সামনে রেখে এমন প্রতারণা মূলক বাস্তবতার সাক্ষী হয়েছেন মোহতারিমা শিমলী নামের এক ক্রেতা। তার অভিযোগ, মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে একই পোশাকের মূল্য প্রায় দিগুণ করেছে ‘বিশ্বস্ত’ প্রতিষ্ঠান আড়ং।

৯ জুলাই রোববার তার ফেসবুকে এ প্রতারণা নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আড়ং নিয়ে নেগেটিভ কিছু কখনো লিখবো আগে ভাবিনি। হয়তো বা পোস্টটার জন্য অনেক কথাও শুনতে হবে যেমন: আমার মতো কাস্টমারের জন্যই আড়ং সুযোগ নিচ্ছে। সেই ছোটোবেলা থেকে আব্বু, চাচা, মামাদের দেখেছি আড়ংয়ের জামা কিনে দিতে। মান ভালো, সাইজ সবার জানা, পড়ে আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী হওয়ায় ঈদে উপহার দেয়ার জন্য আড়ং ছিলো বেস্ট। আমরা আড়ংয়ের নিয়মিত ক্রেতা।’

chardike-ad

arong‘কিন্তু এবার ঈদে শপিং করে খুব ডিসঅ্যাপয়েন্টেড (হতাশ) হতে হলো। যমুনা ফিউচার পার্কের কাছে বাসা হওয়ায় ১৫ রোজা থেকে প্রতিদিন আড়ং এ যাওয়া হয়েছে। শ্বশুর বাড়ি-বাবার বাড়ির ৯৫ শতাংশ কেনাকাটা আড়ং থেকেই করেছি। এমনকি ৯০ শতাংশ গিফটও আড়ং থেকেই পেয়েছি। যাই হোক, ১৫ রোজার দিকে আমার ভাবি একটা সেলোয়ার কামিজ কেনেন, যার দাম দুই হাজার ৩৬১ টাকা। ২৫ রোজার পর সেটাই চার হাজার ২৫২ টাকায় বিক্রি করে আড়ং।’

শিমলী লেখেন, ‘জামাটি প্রথমে দেখেই চিনে ফেলি এবং অভিযোগ করি যে ভুল ট্যাগ লাগানো কিনা! সংশ্লিষ্টরা চেক করে জানান ঠিক আছে। কাপড়, কালার এবং কাজ সব একই। কিন্তু দামই ভিন্ন!’

তিনি লিখেন, ‘আমি আগেও অনেক শুনেছি ঈদের সময় শেষের দিকে নাকি আড়ং দামের ট্যাগ চেঞ্জ করে দেয়। যেহেতু এই সময় বাজেট একটু বেশি থাকে তাই বেশি দামের পণ্যের প্রতি ক্রেতারা ঝোকে। তবে আড়ং এর মতো ট্রাস্টেবল (বিশ্বস্ত) একটা সপ আমাদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করবে আশা করিনি।’ প্রিয়