Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে উত্তাল ফিলিস্তিন

israelমুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা আল-আকসা মসজিদে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতার প্রতিবাদে গোটা অধিকৃত ফিলিস্তিন উত্তাল হয়ে রয়েছে। এই মসজিদের প্রবেশপথে ইলেকট্রনিক গেট এবং নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপন করার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

ইহুদিবাদী পুলিশ এই মসজিদে ৫০ বছরের কম বয়সি ব্যক্তিদের প্রবেশে বাধা দিয়ে কার্যত মসজিদটিকে একটি সেনা ঘাঁটিতে পরিণত করেছে।

chardike-ad

গত ১৪ জুলাই থেকে আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে ইহুদিবাদী সেনা ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার নিয়েছে। এসব সংঘর্ষে এ পর্যন্ত দু’পক্ষের বেশ কয়েক ব্যক্তি হতাহত হয়েছে।

দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনি মুসলমানদেরকে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে দিতে চায় না। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা যেকোনো মূল্যে প্রথম ক্বেবলা-খ্যাত এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে বদ্ধপরিকর।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জুন মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেল আবিব সফরে গিয়ে ইহুদিবাদী সরকারের প্রতি যে নিঃশর্ত সমর্থন ঘোষণা করেছেন তার ফলে দখলদার সরকারের ঔদ্ধত্ব অনেক বেড়ে গেছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল চায় জেরুজালেম-খ্যাত বাইতুল মোকাদ্দাস শহরকে নিজের রাজধানী ঘোষণা করতে। এই লক্ষ্যে ইহুদিবাদী সরকার এই শহরে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদসহ অন্যান্য মুসলিম ঐতিহ্য ধ্বংস করে শহরটিকে ইহুদিবাদীদের শহর হিসেবে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

কিন্তু ফিলিস্তিনিরা শুরু থেকেই ইসরাইলের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন; যার ফলে এখন পর্যন্ত তেল আবিব তার এই অশুভ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ফিলিস্তিনি মুসলমানরা ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা আন্দোলন এবং ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে কুদস ইন্তিফাদা আন্দোলন শুরু করে ইসরাইলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথে শক্ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের আন্দোলন তুঙ্গে ওঠায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, ইসরাইলি সেনাদের কঠোর দমন অভিযান ও গুলিবর্ষণ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিরা প্রবল ইসরাইল বিরোধী আন্দোলন করে প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের সংগ্রাম কোনো ধরনের দমন অভিযান চালিয়ে স্তব্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়।