Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিমানে ‘মাতাল যাত্রী’ বেড়েছে ৫০%

drinking-on-a-planeযুক্তরাজ্যের বিমানবন্দর এবং ফ্লাইটগুলোতে মদ অথবা নেশা জাতীয় দ্রব্য খেয়ে মাতাল হওয়া যাত্রীদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। গত একবছরের ব্যবধানে এ ধরনের গ্রেপ্তারের হার বেড়েছে ৫০ শতাংশ।

বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মাতলামির অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৮৭ জনকে। যা আগের বছরে ছিল ২৫৫ জন। অর্থাৎ একবছরে বেড়েছে ১৩২ জন বা ৫১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

chardike-ad

এদিকে একটি জরিপে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের অর্ধেকের বেশি কেবিন ক্রু মাতাল যাত্রীদের বিভিন্ন ঘটানার সাক্ষী। তারা বলছেন, যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দরে তারা প্রায়ই মাতাল যাত্রীদের অসদাচরণের সম্মুখিন হয়েছেন।

ওই জরিপে বলা হয়েছে, ১৯ হাজার কেবিন ক্রুর মধ্যে ৪ হাজার কেবিন ক্রু এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের প্রতি ৫ জনের ১ জন মাতাল যাত্রীদের দ্বারা শারীরিকভাবে হেনস্তা হয়েছেন।

১৪ বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন কেবিন ক্রু অ্যালি মারফি বলেন, মাতাল মানুষগুলো তাদেরকে শুধু একজন মদ পরিবেশক ওয়েটার হিসেবে দেখে। তারা ক্রুদের স্পর্শকাতর স্থান গুলোতে প্রায়শই স্পর্শ করতো।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দরগুলোতে দ্বায়িত্বে থাকা অধিকাংশ পুলিশও এমন তথ্য দিয়েছেন। বিমানবন্দর এলাকায় ২০ জন পুলিশের ১৮ জনই মাতাল যাত্রীদের গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে।

গত ২০১৬ সালে দেশটির বিমান সংস্থা যাত্রীদের আচার-আচরণের উপর একটি বিধিনিষেধ জারি করে। যাতে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ এয়ারলাইনস এবং বিমানবন্দরগুলো সম্মতি প্রদান করে।

কিন্তু একটি জরিপে দেখা গেছে, কেবিন ক্রুদের এক-চতুর্থাংশই এই বিধি সম্পর্কে অবহিত নন। এছাড়া এই আইন সম্পর্কে যারা জানেন তাদের মাত্র ২৩ শতাংশ মনে করছেন এটি কাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কেবিন ক্রু বলেন, আইনটি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। তবে এর কোনো সক্রিয়তা নেই। আমরা প্রতিনিয়তই মাতাল যাত্রীদের হেনস্তার শিকার হচ্ছি।