চীনের বিমান বাহিনী কোরিয়ান পেনিনসুলার কাছে সামরিক মহড়া চালিয়েছে। সমুদ্র থেকে ‘হঠাৎ কোন আক্রমণ’ ঠেকানোর জন্য এই মহড়া চালানো হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় বলা হয়।
মঙ্গলবার ও বুধবার পীত সাগরের নিকটে এই মহড়া পরিচালিত হয়। এই পীত সাগরটি চীন ও কোরিয়ান পেনিনসুলাকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মধ্য চীন থেকে বড় আকারের সেনাদল নিয়ে আসা হয় কোরিয়ান পেনিনসুলার কাছে। সেখানে ‘হঠাৎ কোন আক্রমণ’ ঠেকানোর জন্য আসল যুদ্ধের অনুকরণে মহড়া পরিচালিত হয়। এতে চীনা সেনাদের দ্রুত জবাব দেওয়ার ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়।
চীনা ভূখণ্ডে কোনো ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য কোনো হামলা হলে সেটা কীভাবে ঠেকানো যাবে সেটাও মহড়াতে জায়গা পায়।
তবে চীনা সামরিক বাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয় এই মহড়া ‘কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে বা কোনো দেশকে টার্গেট করে নয়। সেনাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বার্ষিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।’
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, কোরিয়ান পেনিনসুলাতে মার্কিন সমর্থিত সেনা সমাবেশকে সন্দেহের চোখে দেখছে চীন। আর দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের ঘটনায় চীন তার উষ্মা প্রকাশ করেছে।
চলমান উত্তর কোরিয়া সংকটে চীন ও রাশিয়া বারবার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উপরই জোর দিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ উত্তর কোরিয়ার উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়, যার মধ্যে আছে কিমের সম্পতি বাজেয়াপ্ত করা, উত্তর কোরিয়ায় তেল রপ্তানী বন্ধ করা এবং দেশটি থেকে বস্ত্র আমদানি বন্ধ করা। এই পরিস্থিতিতে চীনের সামরিক বাহিনীর মহড়া যথেষ্ঠ ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।