Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্ব একাদশকে হারিয়ে সিরিজ পাকিস্তানের

pakistanবিশ্ব একাদশকে ৩৩ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে ইন্ডিপেনডেন্ট কাপ সিরিজ জিতল পাকিস্তান। শুক্রবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে। বিশ্ব একাদশের হয়ে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেন নি। যেটা পেরেছেন পাকিস্তান আহমেদ শেহজাদ। ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচে জয়-পরাজয়টা নির্ধারণ হয়েছে মূলত এখানেই।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিশ্ব একাদশের ওপেনার তামিম ইকবাল শুরুটা করেছিলেন দারুণ। ইমাদ ওয়াসিমের করা প্রথম ওভারে ৩ চারে স্কোর বোর্ডে ১৩ রান যোগ করেন। কিন্তু পরের ওভারেই উসমান খানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান বিশ্ব একাদশে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি। আরেক ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাও ঝড়ো শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১২ বলে ৩ চারে ২১ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। রান আউটে কাটা পড়েন বিশ্ব একাদশের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও (১৩)।

chardike-ad

৬৭ রানে ৫ উইকেট হারালেও থিসারা পেরেরা ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে কিছুটা আশা জাগিয়েছিল বিশ্ব একাদশ। ১৩ তম ওভারে শাদাব খানকে পেরেরা পর পর তিন বলে তিনটি ছয় হাকান। চতুর্থ বলে মারের চার। মোট ২৪ রান আসে সেই ওভারেই। কিন্তু আগের ম্যাচের জয়ের অন্যতম নায়ক পেরেরা ঝড় থামান রুম্মান রাইস। ১৩ বলে ৩ ছয় ও ২ চারে ৩২ রান করে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

এরপর আশা হয়েছিলেন মিলার ও ড্যারেন সামি। কিন্তু ১৭তম ওভারের শেষে বলে মিলার ফিরতেই বিশ্ব একাদশের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। মিলার হাসান আলির বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন। ২৯ বলে ১ ছয় ও ২ চারে ৩২ রান করেন তিনি। সামি শেষ পর্যন্ত ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ২৩ বলের ইনিংসটিতে ছিল ২ চার ও ১ ছয়। পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলি সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম, উসমান খান ও রুম্মান রাইস ১টি উইকেট নেন।

এর আগে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ সেহজাদ। শেষ দিকে রান আউটের ফাঁদে পড়ার আগে ৫৫ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো এক ইনংস খেলেন এই ওপেনার। ৮টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ফকর জামানকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৬১ রান। ৮.২ ওভারে রান আউটের ফাঁদে পড়েছিলেন ফকরও। ২৫ বলে ২৭ রান করেন তিনি।

এরপর সেহজাদ ও বাবর আজমের ১০২ রানের জুটি। দুই প্রান্তেই বিস্ফোরক ছিলেন দুজনই। বাবরের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ রান। ৩১ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার। শেষ এদিকে এদিনও ঝড় তুললেন শোয়েব মালিক। ৭ বলে খেললেন ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। যেখানে ছিল ২টি ছয়। বিশ্ব একাদশের হয়ে থিসারা পেরেরা সর্বোচ্চ ২ উইকেটে নিয়েছেন।