Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইট ওয়াশ পাকিস্তান

srilankan-teamচতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের পরাজয়। জয়ের জন্য ৩১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতেনেমে ৫২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সেই ম্যাচে ফিরে আসা ছিল এক প্রকার অনিশ্চিত বিষয়; কিন্তু পাকিস্তান সম্পর্কে কেউ তো আগে থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। তারা আনপ্রেডিক্টেবল। ক্রিকেটও যেহেতু গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা, সেহেতু চরম সংশয়বাদীও কেউ আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে সাহস করবে না।

সেই অনিশ্চয়তাকেই যেন প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছিলেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান আসাদ শফিক এবং সরফরাজ আহমেদ। চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে প্রায় ৪০ ওভার ব্যাট করে ১৪৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। নিশ্চিত হেরে যাওয়া ম্যাচে পাকিস্তানকে একেবারে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুললেন তারা। শুধু তাই নয়, নিশ্চিত পরাজয় থেকে দলকে নিয়ে এলেন জয়ের পথে।

chardike-ad

তবে অবিশ্বাস্য কর্মটি আর শেষ পর্যন্ত সম্পাদন করতে পারলেন না সরফরাজ আহমেদ। পাকিস্তান অধিনায়ক চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে ছিলেন ৫৭ রানে অপরাজিত। পঞ্চম দিন সকালে মাঠে নেমে আউট হয়ে গেলেন ৬৮ রানে। ভেঙে গেলো ১৭৩ রানের লড়াকু জুটি। একই সঙ্গে পাকিস্তানের পরাজয়ের শঙ্কাটাও তখন তৈরি হয়ে যায়।

সেই শঙ্কা থেকে সেঞ্চুরি করেও দলকে বাঁচাতে পারলেন না আসাদ শফিক। ১১২ রান করেছিলেন মিডল অর্ডারের এই ব্যাটসম্যান। তবে তাকে সঙ্গ দেয়ার মত কেউ ছিল না। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে হেরে যেতে হলো পাকিস্তানকে। ৩১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান অলআউট হলো ২৪৮ রানে। প্রথম ম্যাচেও হেরেছিল পাকিস্তান। ফলে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াইশই হতে হলো পাকিস্তানকে।

লঙ্কান স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরা ছিলেন চতুর্থ ইনিংসে দলের জয়ের নায়ক। একাই ৫ উইকেট নেন তিনি। রঙ্গনা হেরাথ নেন ২টি, ১টি করে নেন সুরঙ্গা লাকমাল, লাহিরু গামাগে এবং নুয়ান প্রদীপ। ২০১০ সালে আরব আমিরাতকে হোম ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করার পর এই প্রথম লঙ্কানদের কাছে সিরিজ হারলো পাকিস্তান।