Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে নাম লেখাল পানামা

panama-footballদেশটির ফুটবল খুব বেশি পরিচিত নয়। কোনো ফুটবলারকেও কালে-ভদ্রে চেনা যাবে না। দেশটিকেই সবাই চেনে এক পাশে আটলান্টিক আর অন্যপাশে প্রশান্ত মহাসাগর সংযোগকারী পানামা খালের কারণে। লাতিন এবং উত্তর আমেরিকাকে সংযোগ করেছে এই দেশটি। তারাই কি না এবার বিশ্বকাপের মত বৈশ্বিক আসরে ঠাঁই করে নিলো।

বিশ্বকাপে খেলার কোনো আশাই ছিল না মধ্য আমেরিকার দেশটির। কিন্তু মধ্য আমেরিকার আরেক দেশ কোস্টারিকার বিপক্ষে বিতর্কিত গোলের মধ্য দিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে জয় তুলে নেয় পানামা। যে কারণে ছিটকে পড়লো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত আঞ্চলিক ফুটবল পরাশক্তি।

chardike-ad

পানামা সিটিতে নিজেদের মাঠেই ছিল কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচটি। খেলার ৫২ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল তোরেস এবং ৮৮ মিনিটে রোমান তোরেস গোল করে পানামার জয় নিশ্চিত করেন। অবশ্য, পানামার এই দুই গোলের আগেই কোস্টারিকাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ভেনেগাস। ৩৬ মিনিটে গোল করে।

৫২ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল তোরেস যে গোলটি করেন, সেটি নিয়েই সবচেয়ে বেশি বিতর্ক। এই গোলটি কোনোভাবেই গোললাইন অতিক্রম করেনি। তবুও রেফারি গোলের বাঁশি বাজান। কর্ণার কিক থেকে ভেসে আসা বলটিতেই পা লাগান গ্যাব্রিয়েল তোরেস। সেই বলটি গিয়েই গোল লাইনের ওপর থমকে যায়। সেখান থেকে ক্লিয়ার করা হলেও রেফারি সেটাকে গোল বলে রায় দেন।

ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়াটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। কনকাকাফ অঞ্চলে ৫ম হওয়ার কারণে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়ে তারা। তবুও পানামার ম্যাচটিতে যদি বিতর্কিত গোলটি না হতো এবং ম্যাচটি ড্র হতো, তাহলে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ থাকতো যুক্তরাষ্ট্রের। তখন তারা খেলতো প্লে-অফ।

এর আগে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত পানামা বিশ্বকাপের বাছাই পর্বই খেলতে পারেনি। ১৯৭৮ সাল থেকে প্রতিবারই তারা স্বপ্ন দেখে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য। কিন্তু কোনবারই ভাগ্যের সিকে ছেঁড়েনি। অবশেষে সেই সৌভাগ্যের দেখা পেলো মধ্য আমেরিকার দেশটি।

শুধু পানামাই একা নয়, এই প্রথমবারেরমত বিশ্বকাপে নাম লিখিয়েছে ইউরোপের দেশ আইসল্যান্ড। আগেরদিনই তারা কসোভোকে ২-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারেরমত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।