Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রাজশাহীকে হারিয়ে শীর্ষে খুলনা

khulnaটস হেরে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীকে ২১৪ রানের টার্গেট দেয় খুলনা। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৫ রানেই গুটিয়ে গেছে রাজশাহী কিংস। ফলে ৬৮ রানের জয় পেয়েছে খুলনা টাইটানস। আর এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে টাইটানসরা।

খুলনার এই জয়ের নায়ক নিকোলাস পুরান এবং শফিউল ইসলাম। পুরান মাত্র ২৬ বলে দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। আর ৫ উইকেট শিকার করে রাজশাহীকে বিধ্বস্ত করেছেন শফিউল ইসলাম।

chardike-ad

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় মাত্র ১৩ রানের মধ্যে ফেরেন দুই ওপেনার। ব্যক্তিগত ১১ রানে শফিউলের শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার মুমিনুল হক। এরপর আরেক ওপেনার লুক রাইটকে সঙ্গ দিতে আসেন রনি তালুকদার। তবে নিজের ১ রানের মাথায় শফিউলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন লুক রাইট।

লুক রাইট ফেরার পর ক্রিজে যোগ দেন জাকির হাসান। রনির সঙ্গে জুটি গড়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু দলের ৬৮ রান এবং নিজের ৩৬ রানে আবু জায়েদের বল রুশোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রনি। এরপর ব্যাট হাতে মাঠে নামেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। তবে নিজের ১৯ রানের মাথায় আবু জায়েদের বলে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হয়ে ফেরেন জাকির হাসান।

জাকির ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তবে দুই বলে ১ রান করে শফিউলের শিকার হয়ে ফেরেন স্যামি। এরপর ক্রিজে নামেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন। কিন্তু শফিউলের চতুর্থ শিকার হয়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় সংগ্রহে ব্যক্তিগত ১১ রান দিয়ে মুশফিক ফেরার পর ক্রিজে আসেন মেহেদি হাসান।

মেহেদি ক্রিজে আসার পরপরই দলীয় ১২০ রান এবং ব্যক্তিগত ১৪ রানে জফরা আর্চারের শিকার হয়ে ফিরে যান ফ্রাঙ্কলিন। এরপর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ স্যামি। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৯ রানে আফিফ হোসেনের শিকার হয়ে ফেরেন মেহেদি হাসান।

মেহেদি ফেরার পর ক্রিজে আসেন কেসরিক ্‌উইলিয়ামস। মাহমুদউল্লাহর শিকার হয়ে ব্যক্তিগত মাত্র ১ রানে ফেরেন কেসরিক। এরপর শফিউলের পঞ্চম শিকার হয়ে নিজের ১৮ রান এবং দলীয় ১৪৫ রানে ফিরে যান মোহাম্মদ স্যামি।

এর আগে আজ সোমবার প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে এবারের বিপিএলের দলীয় সর্বোচ্চ ২১৩ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা টাইটানস।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন খুলনার ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত। তবে দলীয় ২৮ রান এবং ব্যক্তিগত ৬ রানে জাকির হোসেনের বলে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার রিলি রুশো।

এরপর শান্তকে সঙ্গ দিতে আসেন আফিফ হোসেন। শান্তর সঙ্গে শক্ত জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আফিফ। তবে দলের ৭৩ রান এবং ব্যক্তিগত ৪৯ রানের মাথায় জেমস ফ্রাঙ্কলিনের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন শান্ত।

শান্ত ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তবে দলীয় সংগ্রহে মাত্র ১ রান যোগ করার পরই ফ্রাঙ্কলিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন খুলনার অধিনায়ক। এরপর ক্রিজে আসেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। আফিফের সঙ্গ শক্ত জুটি গোড়ে তোলেন তিনি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে দলীয় সংগ্রহে ব্যক্তিগত ৫৭ রান যোগ করার পর ফ্রাঙ্কলিনের বলে ড্যারেন স্যামির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পুরান।

এরপর আফিফকে সঙ্গ দিতে আসেন কার্লোস বাফেট। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৪ বলে ৩৪ রান করে মোহাম্মদ স্যামির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাফেট। তারপর ক্রিজে নামেন আরিফুল হক। কিন্তু দলীয় সংগ্রহে ১ রান যোগ করার পরেই নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষ হয়ে যায়। ফলে ৩৮ বলে ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে আফিফ হোসেন এবং ১ রানে আরিফুল হক অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন।