Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নাসিরদের ঘূর্ণিতে চট্টগ্রামের লজ্জার রেকর্ড

nasir-bplমিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি প্রায় শুনশান, মেরেকেটে হাজার দুয়েক দর্শক হবে কি না সন্দেহ। সেই দর্শকেরা একটু নড়েচড়ে বসতে না বসতেই এক ইনিংস শেষ! চিটাগং ভাইকিংসকে যে মাত্র ৬৭ রানেই অলআউট করে দিয়েছে সিলেট সিক্সারস! বিপিএলের ইতিহাসে এটা চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর, আর এবারের বিপিএলে সর্বনিম্ন। এই রান তাড়া করে ১০ উইকেটের সহজ পেয়েছে সিলেট। নিজেদের মাটিতে প্রথম তিন ম্যাচ জয়ের পর এই প্রথম হাসতে পারল সিলেট। সেই সঙ্গে নয় পয়েন্ট ক্ষীণ হলেও বেঁচে রইল প্লে অফে খেলার আশা।

উইকেট নিয়ে কাল প্রশ্ন তুলে গিয়েছিলেন তামিম-মাশরাফি। আজ অবশ্য উইকেটের যতটা দায়, ব্যাটসম্যানদের বাজে শট আর বোলারদের কৃতিত্ব তার চেয়ে খুব একটা কম নয়। সিলেটের ঘূর্ণিজাদু বুঝতেই পারেনি চিটাগং, সবকটি উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা। নাসির হোসেনই ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল, ৩১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই, যে কোনো ধরনের ক্রিকেটেই এটা তাঁর সেরা বোলিং।

chardike-ad

শুরুটা করেছিলেন নাসির প্রথম ওভারেই। মুখোমুখি প্রথম বলটাই ছয় মেরে লুক রঙ্কি তাঁর স্বভাবসুলভ শুরুই করেছিলেন। পরের বলেই নাসিরের বলে লাইন মিস করে বোল্ড। সৌম্য সরকার ব্যর্থ আরও একবার, এবার মুখোমুখি প্রথম বলেই নাসিরক ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন।

চিটাগংয়ের টপ অর্ডারকে বলতে গেলে একাই গুটিয়ে দিয়েছেন নাসির। তিনে নামা লুইস রিসকে ১২ রানে করেছেন এলবিডব্লু, চারে নামা স্টিয়ান ফন জিলও নাসিরের বলে ক্যাচ দিয়েছেন রাব্বিকে। প্রথম ছয়জনের মধ্যে শুধু সিকান্দার রাজার উইকেটটাই নিয়েছেন শরিফুল্লাহ, তানভীর হায়দারকেও ফিরিয়েছেন নাসিরই।

এরপর ইরফান শুক্কুর তিন চারে একটু প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অন্য পাশ থেকে সবাই ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। দলের ৫৩ রানে ইরফান শুক্কুর আউট হওয়ার পর চট্টগ্রামের লেজটা ছেটে দিয়েছেন নাবিল সামাদ। এমরিট ও সানজামুলকে আউট করার পর নাঈমও স্টাম্পড হয়ে ফিরে গেছেন নাবিলের বলে। ১২ ওভারেই তাই ৬৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে চিটাগং।

তবে সিলেটের ব্যাটিংয়ের সময় আবার মনে হয়নি, উইকেটে এমন কোনো জুজু আছে। পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ১১.১ ওভারেই ১০ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন দলকে।