Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঘুষের টাকাসহ মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আটক

dudok
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মো. নাজমুল কবিরকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

ঘুষের ২ লাখ টাকাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক নাজমুল কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার অফিসের ড্রয়ার থেকে ঘুষের দুই লাখ ছাড়াও আরো কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে।

বুধবার (০৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়ে ওই কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন দুদকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ার।

chardike-ad

যশোরের নাভারণের একটি মদের দোকানের লাইসেন্স নবায়নের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক নাজমুল কবির দুই লাখ টাকা ঘুষ নেন। নিজ অফিসে ঘুষ লেনদেনের কিছুক্ষণ পরেই হানা দেয় দুদক। এ সময় অফিসে ঢুকেই দুদক কর্মকর্তারা প্রথমেই উপ পরিচালকের ড্রয়ারের চাবি নেন। এরপর ড্রয়ার খুলে দুই বান্ডিলে দুই লাখসহ আরো কয়েক বান্ডিল টাকা পাওয়া যায়।

সোর্সের দেওয়া নাম্বার মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, দুই বান্ডিলের দুই লাখ টাকা মদ ব্যবসায়ী মহব্বত আলী টুটুলের দেওয়া ঘুষ। ফলে তাৎক্ষণিক তাকে আটক করে দুদক। দুদক বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুল কবিরের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে তাকে কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন দুদক টিম। কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজমল হুদা বলেন, দুদকের মামলার বিষয়ে আসামীকে জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

নাজমুল কবিরের কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় ঘুষের দুই লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, যশোর শহরের বাসিন্দা শেখ মহব্বত হোসেন টুটুল নামে এক ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন নিয়ে নাভারনে বাংলা মদের ব্যবসা করেন। গত জুন মাসে তিনি তার লাইসেন্স নবায়নের জন্য যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের দপ্তরে আবেদন করেন।

সরকারী নবায়ন ফি প্রদানের পর গত ৬ মাস উপ পরিচালক তার লাইসেন্স নবায়ন না করে টালবাহনা শুরু করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশেরের উপপরিচালক মো. নাজমুল কবির ওই ব্যবসায়ীর লাইসেন্স প্রায় ৬ মাস আগে নিজের হেফাজতে নেন। তিনি লাইসেন্স নবায়ন বাবদ ৫লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টুটুল অফিস খরচ বাবদ ১ লাখ টাকা দেন। কিন্তু তার পরও উপ পরিচালক তার লাইসেন্স নবায়ন না করে ঘুরাতে থাকে। এদিকে ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মহব্বত হোসেন টুটুল যার পরনায় ফের উপপরিচালকের দ্বরস্থ হন। পরে আরো দুই লাখে রফা হয়।

চুক্তিমোতাবেক আজ বুধবার দুপুরে টুটুল ঘুষের দুই লাখ টাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর অফিসে এসে উপপরিচালক মো. নাজমুল কবিরের কাছে তা হস্তান্তর করেন। নাজমুল কবির ওই টাকা রাখেন নিজ ড্রয়ারে।

খবর পেয়ে বিকেল তিনটার কিছু সময় পর দুদক ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশনের একদল কর্মী হানা দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর অফিসে। যশোর কালেক্টরেট চত্বরে অবস্থিত ওই অফিসে দুদকের অভিযান চলাকালে এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান এবং পুলিশ সদস্যরাও সেখানে হাজির হন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর বলেন, ‘আমার উপস্থিতিতে দুদক কর্মকর্তারা ওই অফিসে অভিযান চালান। উপপরিচালকের ড্রয়ার থেকে তখন ঘুষের দুই লাখ টাকা উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় উপপরিচালক নাজমুলকে।’