সামরিক আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। মঙ্গলবার উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দুই বছরেরও বেশি সময় পর উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। ১১ ঘন্টা ধরে চলা বৈঠকে সংঘাত এড়াতে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সম্মত হন দুই দেশের কর্মকর্তারা।
পৃথক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রিকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছৈ, কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা এড়াতে উত্তর কোরিয়াকে বৈরী কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া এতে সম্মত হয়েছে এবং জানিয়েছে আঞ্চলিক শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে জানানো হয়েছিল, ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়া অংশগ্রহণ করবে। এর জন্য পিয়ংইয়ংয়ের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সাময়িক সময়ের জন্য তুলে নেওয়া হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য অলিম্পিক একটা বড় সুযোগ।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ দুই কোরিয়ার মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিয়ংইয়ংয়ের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় কেয়াসং শিল্প এলাকার একটি যৌথ অর্থনৈতিক প্রকল্প বাতিল করে সিউল। এরপরই দুই কোরিয়ার সম্পর্কে অবনতি ঘটে। ওই সময় উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের সঙ্গে টেলিফোনসহ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণে দেশটির শীর্ষনেতা কিম জং উনের আগ্রহের পর উত্তেজনা খানিকটা কমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিমের ভাষণের পর দুই কোরিয়ার মধ্যে টেলিফোন হটলাইন ফের চালু হয়।