bangladesh-test-teamকুশাল মেন্ডিস নিজের নামের পাশে ব্রাকেটে ‘ভাগ্যবান’ শব্দটা চাইলেই যোগ করে দিতে পারেন! দুই-দুইবার ক্যাচ দিয়ে জীবন পাওয়ার পর দুটি রিভিউয়ের আবেদনও গেছে তার পক্ষে! এক ইনিংসে এতো সুযোগ কতজন ব্যাটসম্যান পান?

নিজের প্রথম ওভারে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ মুস্তাফিজের বলে ৪ রানে স্লিপে কুশল মেন্ডিসের প্রথম ক্যাচ ছাড়েন। পরবর্তীতে মিরাজের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারে স্লিপে ক্যাচ মিস করেন ইমরুল কায়েস। ততক্ষণে তার রান ৫৭।

chardike-ad

দিনের শেষ ঘন্টায় তাইজুলের ঘূর্ণিতে বারবার পরাস্ত হচ্ছিলেন মেন্ডিস। ৩৬তম ওভারের পঞ্চম বলে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন মেন্ডিস। বল আঘাত করে প্যাডে। আম্পায়ার ইরাসমাস সাড়া না দেওয়ায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে মানিয়ে রিভিউয়ের আবেদন করেন তাইজুল। সব কিছুই ছিল ঠিকঠাক। বল ইনসাইড পিচ করেছিল, ইমপ্যাক্টও ছিল ইনসাইড। কিন্তু স্ট্যাম্পের থেকে সামান্য উপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। মেন্ডিস বেঁচে যান ৭১ রানে।

পাঁচ ওভার পর আবারও মেন্ডিসের উইকেটের জন্য আবেদন বাংলাদেশের। এবারও ইরাসমাস দেননি সাড়া। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাংলাদেশ নেয় রিভিউ। এবার এলবিডব্লিউ নয় অবশ্য, উইকেটের পিছনে ক্যাচের আবেদন। ৭৫ রানে থাকা মেন্ডিসের পক্ষে গেল রিভিউ। লিটনের হাতে জমা হওয়ার আগে কোনো কিছুতেই স্পর্শ করেনি বল।

দিন শেষে শুধু কুশল মেন্ডিসই আক্ষেপ হয়ে থাকেনি বাংলাদেশের জন্য। স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ না করতেই উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা দিন শেষে ১ উইকেটে করেছে ১৮৭ রান। কুশল মেন্ডিস ৮৩ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত ১০৪ রানে। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের থেকে ৩২৬ রানে পিছিয়ে লঙ্কানরা। ৪ উইকেটে ৩৭৪ রানে দিন শুরু করা বাংলাদেশ আজ ১৩৯ রান যোগ করতেই হারিয়েছে ৬ উইকেট। সব মিলিয়ে রান ৫১৩ যা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে পুরো দিনের পারফরম্যান্সের বিচারে বাংলাদেশের জন্য আজ গেছে হতাশার এক দিন।

সূত্র- রাইজিংবিডি