Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

australia-newzealandপ্রথমবারের মতো আয়োজিত ট্রান্স-তাসমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ১৯ রানে হারিয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল।

বুধবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫০ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে দুই দফা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ১৪.৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১২১। তখন ১৯ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর আর একটি বলও খেলা হয়নি।

chardike-ad

পাঁচ দিন আগে এই মাঠেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৪৪ রান তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে আরেকবার অস্ট্রেলিয়াকে পরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টস জিতে কিউই অধিনায়ক নেন ব্যাটিং।

তবে এবার অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে আর বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি নিউজিল্যান্ড। শুরুটা যদিও দুর্দান্তই হয়েছিল। ৪.৩ ওভারেই ৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন মার্টিন গাপটিল ও কলিন মানরো। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পরই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে কিউইদের ব্যাটিং। দ্রুতই তাদের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৭৩। এরপর ৮ উইকেটে ১১০!

নিউজিল্যান্ড তখন অলআউট হওয়ার শঙ্কায়। রস টেলরের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত কোনোমতে ১৫০ রান করতে পারে তারা। ৩৮ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন টেলর। দুই ওপেনার মানরো ১৪ বলে ২৯ ও গাপটিল ১৫ বলে করেন ২১ রান।

৪ ওভারে ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার অ্যাশটন অ্যাগার। কেন রিচার্ডসন ও অ্যান্ড্রু টাই ২টি করে, বিলি স্ট্যানলেক ও মার্কাস স্টয়নিস নেন একটি করে উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও ডি’আর্চি শর্ট। আগের ম্যাচে শুরুতে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ওয়ার্নার, এবার শর্ট। দুজন পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই তোলেন ৫৫ রান। শর্টের একার রানই তখন ২২ বলে ৪১। এরপরই ইডেন পার্কে নামে বৃষ্টি।

বেশ কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলে শর্ট পূর্ণ করেন ফিফটি, ২৮ বলে। ফিফটির পর অবশ্য আর এক রানও করতে পারেননি শর্ট। মানরোর বলে আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংসটি সাজান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

এরপর দ্রুতই ওয়ার্নার (২৫) ও অ্যাগারকে (২) ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৮৪। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যারন ফিঞ্চ দ্রুতগতিতে রান তুলে নিজেদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান। বৃষ্টিতে দ্বিতীয়বার খেলা বন্ধ হওয়ার আগে দুজন ২৫ বলে যোগ করেন ৩৭ রান।

ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে ২০ ও ফিঞ্চ ১৩ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন অ্যাগার, আর ম্যান অব দ্য সিরিজ ম্যাক্সওয়েল।

সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচ জিতেই শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার জয়যাত্রা। দেশের মাটিতে এরপর ইংল্যান্ডকে দুবার হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ডে পা রাখে অসিরা। কিউইদের তাদের দেশে এসেও হারায় আরেকবার। ফাইনালে আরো একবার হারিয়ে জিতল ট্রফিও।

টানা পাঁচ জয়ে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট সমান করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই দলেরই এখন সমান ১২৬ পয়েন্ট। তবে ভগ্নাংশের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে এখনো শীর্ষে আছে পাকিস্তান।