Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ম্যাশ রয়েল পার্ক : মাশরাফির স্বপ্নের রিসোর্ট

mash-royal-parkক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে থাকা টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা এবার নতুন জগতে পা রাখতে যাচ্ছেন। রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের পুবাইলের দেমোরাপাড়া এলাকায় গড়ে উঠছে ‘ম্যাশ রয়েল পার্ক’। টাইগার ক্যাপ্টেনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এমন এক একটি রিসোর্ট গড়ার। এই রিসোর্টে অবকাশযাপনের সব সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি একটি ফাইভ স্টার মানের হোটেলও থাকছে।

‘ম্যাশ রয়েল পার্ক’ মাশরাফির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এবং চিন্তার ফসল। এখানে প্রকৃতি, বিশুদ্ধতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা মিলেমিশে একাকার। কৃত্রিমতা, অপসংস্কৃতি, বিচ্ছিন্নতার মাধ্যমে বেড়ে ওঠা দেশের একটি প্রজন্ম যখন জীবনবোধ হারাচ্ছে, তখন তাদের দরকার পরিবারের একাত্মতা, মমতা আর একে অন্যের প্রতি মনোযোগের শিক্ষা। ‘ম্যাশ রয়েল পার্ক’ প্রকৃতি আর মানুষের মিলনস্থল হিসেবেই গড়ে উঠছে।

chardike-ad

mash-royal-parkমাশরাফি মনে করেন, শহরের জীবনযাত্রা বড্ড যান্ত্রিক, একঘেয়ে আর স্বার্থচিন্তায় আচ্ছন্ন। মানুষের তাই প্রয়োজন প্রকৃতির কাছে ছুটে যাওয়া, প্রকৃতির আনন্দ-আশ্রয় গ্রহণ করা। প্রকৃতির নিস্তব্ধতার ভেতরেই পাওয়া যায় জীবনের আসল সৌন্দর্য, উৎকর্ষ আর প্রশান্তি। তাই মাশরাফি নিজেও সুযোগ পেলেই ছুটে যান গ্রামে, প্রকৃতির খুব কাছে।

টাইগার ক্যাপ্টেন নিজের রিসোর্ট নিয়ে বলেছেন, ‘আমি আসলে প্রকৃতির সন্তান। খুব ছোট বেলা থেকেই প্রকৃতি আমাকে বিস্মিত করে। শৈশবে যখন মাঠের পর মাঠ দৌড়ে যেতাম তখন দেখেছি প্রকৃতির উদারতা। নদীতে যখন সাঁতার কাটতাম তখন দেখেছি প্রকৃতির প্রবাহ। বৈশাখে যখন ঝড় হতো সেই বজ্রপাতে পেয়েছি প্রকৃতির সাহসিকতা। আসলে প্রকৃতিই আমার স্কুল।’

‘নড়াইলের একটি তরুণ যেখানে জেনে যায় এগিয়ে যাওয়ার সূত্র। আর তাই আমাদের প্রয়াস ‘ম্যাশ রয়েল পার্ক’। যেখানে প্রকৃতিকে কাছ থেকে অনুভব করবো আমরা। আর আমাদের সন্তানেরা প্রকৃতির বিশালতায় বেড়ে উঠবে আত্মবিশ্বাসী, সুখী, সাহসী, সফল মানুষ হিসেবে। বেশি দূরে নয় গাজীপুরের পূবাইলেই আছি আমরা – ভরপুর অক্সিজেন, পাখির কলতান, বিশুদ্ধ খাবার আর অবারিত প্রকৃতি।’

রিসোর্টের নিয়ম সম্পর্কে জানা গেছে, ৫০০০ টাকা দিয়ে অ্যাসোসিয়েট কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া ৯.৫ লক্ষ টাকা দিয়ে হওয়া যাবে এর অংশীদার। ‘ম্যাশ রয়েল পার্ক’ এ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস আর আবহমান মূল্যবোধ লালিত হবে। পাশাপাশি সৃষ্টি করা হবে আন্তর্জাতিক মানের চাকুরীর সুযোগ, যা জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে এবং বেকারত্ব দূরীকরণে বেশ ভালো ভূমিকা রাখবে।

সূত্র- কালের কণ্ঠ