Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্রে যোগ্যতার তুলনায় বাংলাদেশি অভিবাসী কম

meetingপ্রতিবছরের অর্জিত রেমিটেন্স ছাড়াও আমেরিকায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশি দক্ষ অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তবে বাংলাদেশিদের ভাল দক্ষতা এবং মানসম্মত শিক্ষার পটভূমি রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন লাভের জন্য তারা যোগ্য।

শনিবার (০৩ মার্চ) দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’র সম্মেলনকক্ষে ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আমেরিকান অ্যাটর্নি দিল্লি রাজ ভট্ট একথা বলেন। দিল্লি রাজ ভট্ট আইন ও সহযোগী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

chardike-ad

তিনি বলেন, ২০১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের ১৮ হাজার অভিবাসী গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ হাজার পেয়েছেন পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। আর মাত্র ৬৫৩ জন পেয়েছেন চাকুরিসূত্রে।

একই বছরে কর্মসংস্থানভিত্তিক দক্ষ অভিবাসনে ভারত থেকে ২০ হাজার ৭৪৭, নেপাল থেকে এক হাজার ৩৮৬ এবং পাকিস্তানের এক হাজার ৯৯২ জন পেয়েছেন গ্রিন কার্ড।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স (প্রবাসী আয়ের অর্থ) পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ভারত পেয়েছে ১ হাজার ৬৫ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার এবং নেপাল পেয়েছে ৩১ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।

নেপালের রেমিটেন্স পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে কম হলেও মোট জনসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণ। কেননা নেপালের লোকসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখ , আর বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি । জনসংখ্যার আকার বিবেচনা করে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ব্যবহারযোগ্য মানদণ্ড বলে বলেন অ্যাটর্নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে বাংলাদেশিদের সঠিকভাবে আবেদন করতে হবে। এছাড়া আর কিছুই লাগবে না, উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশিদের আবেদনপত্র সঠিকভাবে জমা দেয়া হলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস তা প্রত্যাখ্যান করে না বলেও দাবি করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ ভাল। বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন শাখায় লেখাপড়া করার জন্য লোক আসে। তাহলে বাংলাদেশের ছাত্ররা কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেনা?– প্রশ্ন করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে যদি বাংলাদেশের ছাত্র এবং দক্ষ লোকের সংখ্যা বাড়ে, তাহলে আপনা থেকেই রেমিট্যান্সও বেড়ে যাবে। এসব লোক তাদের অভিজ্ঞতাসহ বাংলাদেশে ফিরে এসে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কিছু করতে পারবে বলে আশা করেন তিনি।

বিশ্বের যেকোনো অংশ থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় অপেক্ষা করছে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের নিরুৎসাহিত হওয়ার কারণ নেই, পুনর্ব্যক্ত করেন অ্যাটর্নি।

ট্রাম্প সরকারের মনোভাব বাংলাদেশিদের জন্য সামগ্রিক অভিবাসনকে প্রভাবিত করবে কি না, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যেহেতু সিস্টেমটি এখনও আগের মতোই রয়েছে তাই বাংলাদেশের মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারে।

সূত্র- বাংলানিউজ