Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ব্রিটেনে মুসলিম বিরোধী গোষ্ঠীর সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো ফেসবুক

britain firstফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্রিটেনের একটি মুসলিম-বিরোধী দলের সবগুলো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এই সোশাল মিডিয়া কোম্পানি বলছে, ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ নামের এই দলটি একাধিকার ফেসবুক ব্যবহারের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে।

এমাসের গোড়াতে ধর্মীয়ভাবে জুলুম করার অভিযোগে ব্রিটেন ফার্স্ট-এর প্রধান পল গোল্ডিং এবং জেডা ফ্রান্সেনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই দলের ফেসবুক পেজকে ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ লাইক দিয়েছেন।

chardike-ad

ফেসবুক বলছে, এই দলের পাতাগুলো অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ তাদের পক্ষ থেকে সর্বশেষ যে হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছিল এই দলের নেতারা সেটা উপেক্ষা করেছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন ব্রিটেন ফার্স্ট-এর নেতারা স্বনামে বা বেনামে নতুন করে কোন পেজও চালু করতে পারবেন না। ঐ সংগঠনের ফেসবুক পাতায় যেসব ছবি এবং ভিডিও রয়েছে সেগুলো মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে উৎসাহিত করে বলে ফেসবুক মনে করছে। প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে দেশের সংসদে ফেসবুকের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোও একই ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি আশা করেন।

লন্ডনের মেয়র সাদিক খানও বলেছেন, ব্রিটেন ফার্স্ট একটি ‘নীচ এবং বিদ্বেষপূর্ণ সংগঠন’। বিবিসি জানায়, ব্রিটেন ফার্স্টের ফেসবুক পাতায় এই দলের একজন নেতার ছবিতে লেখা ছিল: “আমি মুসলমান-বিরোধী এবং এর জন্য আমি গর্বিত।”

আরেকটি ছবির ক্যাপশনে মুসলমানদের পশুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে যার উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের সম্পর্কে যাতে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করা যায়।এই বিষয়ে একটি ব্লগ প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা চায় সব ধরনের মতামত প্রকাশের জন্য তাদের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা হবে, কিন্তু এই মতামতের মধ্যে কোন ঘৃণা প্রকাশিত হবে না।

ব্রিটেন ফার্স্টের বিরুদ্ধে কোন একটা পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে ফেসবুকের ওপর চাপ ক্রমশই বাড়ছিল।ফেসবুকের কর্মকর্তারা বলছেন, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে কেউ ঘৃণা ছড়ালে সেই পেজগুলো সরিয়ে নেয়াই তাদের নীতি। ফেসবুকের মতোই টুইটারও গত ডিসেম্বর মাসে পল গোল্ডিং এবং জেডা ফ্রান্সেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।- খবর বিবিসি