চিলিতে মমি করা একটি কঙ্কালের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কঙ্কালটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ ইঞ্চি যা কোন নবজাতকেরও এতটা ছোট হওয়ার কথা নয়। কেবল ৬-৮ দিনের ভ্রণের দৈর্ঘ্যই এত ছোট হতে পারে। মমিটির বিস্ময়কর এই বৈশিষ্ট্য তার আদি ও মৌলিক পরিচয় জানতে আগ্রহী করেছে বিজ্ঞানীদের।
কঙ্কালটির উচ্চতা যেমন অবিশ্বাস্যভাবে খর্বকায়, তেমনি এর বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য একেবারেই ভিন্ন। বিশেষ করে এর অনাকাঙ্ক্ষিত আকৃতির পাঁজরের হাড় এবং কোণ আকৃতির করোটি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর ধারণা করা হচ্ছে, কঙ্কালের বয়স ও অন্যসব ব্যতিক্রম বিষয় হয়ত জেনেটিক মিউটেশনের কারণে ঘটেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আতাকামা অঞ্চলে মেলা এই দেহাবশেষ হয়তো কোনও মানুষের ছিল না। ‘সিরিয়াস’ নামের এক ডকুমেন্টরিতে একে পৃথিবীতে এলিয়েনের আসার প্রমাণ হিসেবেও তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে এর নাম দেয়া হয়েছে ‘আতা’।
বিজ্ঞানীদের একটি দল কঙ্কালটির জেনোম পরীক্ষা করেছেন। কোষের নিউক্লিয়াস থেকে সংগৃহীত হয় জেনেটিক ব্লুপ্রিন্ট। এ পদ্ধতিতে মানুষের দেহ পরীক্ষা করা হয়। এতে প্রমাণ মেলে আতা ছিল কন্যাশিশু।
দেহাবশেষটি চিলির লা নোরিয়া শহরের এক পরিত্যক্ত নাইট্রেট খনিতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে পরে স্পেনের এক ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় জায়গা হয় তার। মমিটিকে নিয়ে যে গবেষণা হয়েছে, তা প্রকাশ পায় ‘জেনোম রিসার্চ’ জার্নালে।