Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

kim-missileউত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, তার দেশ সব ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে দেশের একটি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র খুব দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে তিনি। খবর বিবিসি।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, ২১ এপ্রিল থেকেই পারমাণবিক এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রাখবে উত্তর কোরিয়া। কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, কোরীয় দ্বীপে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শান্তি প্রক্রিয়া স্থাপণের অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

chardike-ad

আগামী সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা-ইনের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন কিম জং উন। আগামী জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডে ট্রাম্পের সঙ্গেও কিমের বৈঠক হওয়ার কথা। ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে দু’দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক।

কিম জং উনের এই সিদ্ধান্ত শোনার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, এটা উত্তর কোরিয়া এবং পুরো বিশ্বের জন্যই একটি ভালো খবর। এটা বিরাট একটা অগ্রগতি। গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় সফল হলে উত্তর কোরিয়ার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র উত্তর কোরিয়ার এই সিদ্ধান্তকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’বলে উল্লেখ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা-ইনের কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এমন সিদ্ধান্ত আসন্ন উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সামিটের সফলতার জন্য খুবই ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে।

কিম জং উন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার আর পরমাণু বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই কারণ ইতোমধ্যেই তারা তা অর্জন করেছে। এর আগে দেশটির নববর্ষ উদযাপনকালে এক ঘোষণায় কিম বলেছিলেন যে, তার দেশ পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হওয়ায় তারা খুশি।

ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষার পর নতুন করে আর কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। তাদের যা আছে তাতে নতুন করে আর কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই বলেই ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ করা হচ্ছে। এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাহিদার জন্য করা হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন কিম।