Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

arjun rampal‘ভালোবাসা আর কিছু সুন্দর মুহূর্তের স্মৃতি দিয়ে ঘিরে থাকা আমাদের দীর্ঘ ২০ বছরের যাত্রা এখানেই শেষ হচ্ছে। আমরা বুঝতে পেরেছি, আমাদের দুজনের পথ এখন থেকে আলাদা। আমরা দুজন ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ব্যক্তিগত রাখতেই পছন্দ করি। এখন এমন একটা সময় এসেছে, তাই এসব জানাতেই হচ্ছে। তবে আমরা আলাদা থাকলেও একজন আরেকজনের প্রয়োজনে পাশে থাকব, বিশেষ করে আমাদের দুই মেয়ে মাহিকা আর মায়রার জন্য।’ বোম্বে টাইমসকে দেওয়া আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন অর্জুন রামপাল আর মেহের জেসিয়া। এরই মধ্যে ভেঙে গেছে তাঁদের সংসার। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো অর্জুন রামপাল আর মেহের জেসিয়ার ২০ বছরের সংসারজীবন।

যৌথ বিবৃতিতে অর্জুন রামপাল আর মেহের জেসিয়া আরও লিখেছেন, ‘আমরা যখন কাছাকাছি ছিলাম, তখন সব সময় দৃঢ় ছিলাম। আজ যখন আমরা একে অপরকে কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, তখনো দৃঢ় থাকতে চাই। আর ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা আর কোনো মন্তব্য করব না।’

chardike-ad

এ মাসের মাঝামাঝি শোনা যায়, হৃতিক রোশন-সুজান, ফারহান আখতার-অধুনা আর আরবাজ খান-মালাইকার পর আরেকটি সম্পর্ক ভাঙনের পথে। বলিউডে একের পর এক পুরোনো দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। তখন শোনা গেছে, অর্জুন রামপাল আর মেহের জেসিয়ার দাম্পত্য সম্পর্ক টালমাটাল। এমনকি তাঁরা দুজন আলাদা থাকছেন।

বেশ কিছু দিন ধরে তাঁদের দুজনের মন-কষাকষি চলছে। এমনকি বিটাউনে জোর গুঞ্জন, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় এক ব্যক্তির আবির্ভাব হয়। আর এই তৃতীয় ব্যক্তিটি হলেন হৃতিকের সাবেক স্ত্রী সুজান। বলিউড তারকা অর্জুনের সঙ্গে সুজানের সম্পর্ক নাকি ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হয়। আর তা মোটেই পছন্দ করেননি মেহের। অর্জুন ও সুজানের মাখো মাখো সম্পর্কের জন্য মেহের খুব রেগে যান। আর কোন স্ত্রী তাঁর স্বামীর জীবনে অন্য নারীর অস্তিত্ব মেনে নেবেন? তাই স্বাভাবিকভাবে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরে।

এর আগেও একবার তাঁদের সম্পর্ক ভাঙতে বসেছিল। কিন্তু অর্জুন-মেহের তাঁদের দুই মেয়ে মাহিকা আর মায়রার জন্য তাঁদের ভাঙাচোরা সম্পর্কে প্রলেপ লাগান। মেয়েদের মুখের দিকে চেয়ে তাঁরা তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লাগান। অর্জুন-মেহেরকে মেয়েদের নিয়ে বিদেশে ছুটি কাটাতে দেখা গেছে। এই সবকিছু ছিল তাঁদের চিড় ধরা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর প্রয়াস মাত্র। এখন জানা গেছে, মেহের তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে আছেন। আর অর্জুন অন্য কোথাও আছেন।

হৃতিক-সুজানের ডিভোর্সের কারণ নাকি অর্জুনই ছিলেন। ২০১২ সালে হৃতিকের সঙ্গে সুজানের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর অর্জুনের সঙ্গে সুজানের ঘনিষ্ঠতার খবর শোনা যায়।

অর্জুন আর মেহের ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন। ১৯৯৬ সালে মেহের ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া’ হয়েছিলেন। সুপার মডেল ছিলেন তিনি। অর্জুন শুধু মডেল হিসেবে নয়, অভিনেতা হিসেবেও অত্যন্ত জনপ্রিয়।