Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এক রানে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় বাংলাদেশ

afg-vs-banশেষ বলে দারুণ নাটকীয়তা তৈরি হলো। রান দরকার ৪। ব্যাটসম্যান আরিফুল হক সজোরে হাঁকালেন রশিদ খানকে। বল একেবারে সীমানায়। সীমানার বাইরেই চলে গিয়েছিল; কিন্তু লাফিয়ে উঠে শূন্যে থেকে সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশের ব্যবধানে সেই বলকে বাউন্ডারির বাইরে থেকে ফিরিয়ে দিলেন শফিকুল্লাহ।

একটি ম্যাচ জেতার জন্য কী প্রাণপণ চেষ্টা আফগানদের, সেটা শরিফুল্লাহর এই ফিল্ডিং না দেখলে কল্পনাই করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত দৌড়ে ২ রান নিলেন আরিফুল এবং রিয়াদ। ১ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। সে সঙ্গে আফগানিস্তানের কাছে টানা তিন ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাতেই পড়তে হলো সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশকে।

chardike-ad

সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের জন্য ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪৪ রানেই থেমে যেতে হলো বাংলাদেশকে। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ একটি জুটিও হার বাঁচাতে পারলো না।

আগের দুই ম্যাচ হারের কারণে এমনিতেই মানসিকভাবে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে সিরিজ জয়ের পর টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করার জন্য দারুণ উজ্জীবিত আফগানরা। সে কারণে ম্যাচটা পেন্ডুলামের মতো দুলছিল শেষ বল পর্যন্ত। বিশেষ করে করিম জানাতের করা ১৯তম ওভারে টানা ৫টি বাউন্ডারি মেরে মুশফিকুর রহীম ম্যাচটাকে একেবারে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন। ১৯তম ওভারেই উঠেছিল ২১ রান।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ৯ রান; কিন্তু রহস্যময় স্পিনার রশিদ খান শেষ ওভারে এসে বাজিমাত করলেন। ওভারের প্রথম বলেই রশিদ খানকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন মুশফিক। ৩৭ বলে ৪৬ রান করে ফিরে যেতে হলো মুশফিককে। ফিরতে ফিরতে নিজেকেই ধিক্কার দিচ্ছিলেন। কারণ, হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটাকে ফেলে দিয়ে এসেছেন তিনি।

অন্যদিকে সেট ব্যাটসম্যান ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রশিদ খানকে দ্বিতীয় বলে নিলেন ১ রান। নতুন ব্যাটসম্যান আরিফুল হক নিলেন তৃতীয় বল থেকে দুই রান। পরের বলে আবারও সিঙ্গেল। সুযোগ পেলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু তিনি বিগ শট না খেলে এক রান নিয়ে দিলেন আরিফুলকে। শেষ বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়েও হলো না। চরম দুর্ভাগ্যের কারণে শেষ বলে বাউন্ডারি থেকে বেঁচে গেল আফগানরা। সে সঙ্গে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশকে।

অথচ, মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিক মিলে ৮৪ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়েও পারেনি দলকে জেতাতে। ৩৮ বলে ৪৫ রানে শেষ বলে রানআউট হন মাহমুদউল্লাহ। সাকিব আউট হন মাত্র ১০ রান করে। ১৫ রান করেন সৌম্য সরকার এবং ১২ রান করেন লিটন দাস।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। ২৭ রান করেন আসগর স্টানিকজাই। ৩৩ রান করেন সামিউল্লাহ সেনওয়ারি।২৬ রান করেন মোহাম্মদ শাহজাদ। তবে অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে মুশফিকুর রহীমের হাতে।