Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশে নিম্নমানের গাড়ির ভাগাড় তৈরি করছে ভারত

car
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে নিম্নমানের গাড়ি ‘পুশ’ করে ভারত এ দেশকে তাদের জন্য ভাগাড়ে পরিণত করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)

সংগঠনটির সভাপতি হাবিব উল্লাহ বলেন, ভারত থেকে প্রচুর গাড়ি বাংলাদেশে আসছে। কিন্তু এগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। কয়েক বছরেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ জাপানের ৫ বছরের পুরোনো গাড়িও অনায়াসে ১০-১৫ বছর ব্যবহার করা যায়।

chardike-ad

তিনি আরও বলেন, ভারতের মানুষ নিজের দেশের গাড়ি ব্যবহার করছে না। তাই ভারতের উৎপাদকেরা তাদের নিম্নমানের গাড়ি বাংলাদেশে ‘পুশ’ করছে।
প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সোমবার সংগঠনটির নেতারা এসব মন্তব্য করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে পুরোনো গাড়ি আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বর্তমানে বিদ্যমান অবচয় সুবিধা বছরভিত্তিক ৫ শতাংশ হারে কমানো হয়েছে। এ জন্য ইতিমধ্যে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম সিসি ভেদে এক লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে নতুন ও পুরোনো বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কবৈষম্য দূর করার দাবি জানায় বারভিডা। সংগঠনটির সুপারিশ, ইয়েলো বুকের নতুন মূল্য হতে ডলার বা ট্রেড ডিসকাউন্ট বাবদ ১০ শতাংশ বিয়োজন করার পাশাপাশি বছরভিত্তিক অবচয় হার আগের মতো রাখা হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সহসভাপতি রায়হান আজাদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ শরীফ, আবদুল মান্নান চৌধুরী প্রমুখ।

হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘৪০ বছর ধরে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীরা দেশের ৯০ শতাংশ যানবাহনের জোগান দিয়ে যাচ্ছেন। তবে বাজেটে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বিদ্যমান অবচয়-সুবিধা বছরভিত্তিক ৫ শতাংশ হারে হ্রাস করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তে আমরা স্তম্ভিত ও ব্যথিত।’
এসআর