Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি বাংলাদেশ

bangladesh-team
ফাইল ছবি

২০১৪ সালে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করেছিল বাংলাদেশ। সেই সফরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলেছিল টাইগাররা। কিংস্টন টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল ১০ উইকেটের ব্যবধানে। আর গ্রস ইসলেটে হেরেছিল ২৯৬ রানের ব্যবধানে। এরপর গেল ৪ বছরে আর সাদা-পোশাকে মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চার বছর পর আবার ক্যারিবিয়ান দীপপুঞ্জ সফর করছে টাইগাররা। আর এই সফর শুরু হচ্ছে টেস্ট সিরিজ দিয়ে। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আজ বুধবার রাতে অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। যা সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি, চ্যানেল নাইন ও সনি ইএসপিএন এইচডি।

২০০২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২টি টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি টেস্টে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। অপর দুটি হয়েছে ড্র। ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানরা বরাবরই শক্তিশালী। তার উপর দারুণ ফর্মে আছেন উইকেঁরক্ষক ব্যাটসম্যান শেন ডোরিচ, পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সম্প্রতি তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে স্বাগতিকরা। সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। গ্যাব্রিয়েল এক ইনিংসেই নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। এক ম্যাচে নিয়েছেন রেকর্ড ১৩ উইকেট। তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে নিয়েছেন ২০ উইকেট। ব্যাটসম্যান শেন ডোরিচ এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন সর্বোচ্চ ২৮৮ রান। অলরাউন্ডার হোল্ডার ব্যাট হাতে ১৯৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১২ উইকেট।

chardike-ad

অবশ্য টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে টাইগাররা। আর ৭২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের পেছনেই রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ যদি ২-০ ব্যবধানে জিততে পারে তাহলে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে র‌্যাঙ্কিংয়ে আটে উঠে আসতে পারবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট খেলেছিল ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তাও বছরের শুরুতে। লঙ্কানদের কাছে ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার ছিলেন মুমিনুল হক। চার ইনিংসে টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান করেছিলেন ৩১৪ রান। যেখানে দুটি সেঞ্চুরি ছিল। তিনি ছাড়া বাকিরা কেউ সেঞ্চুরির দেখা পায়নি। মুমিনুলের দুটি সেঞ্চুরি ছাড়া চার ইনিংসে আর মাত্র চারটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল। তার মধ্যে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম করেছিলেন ১টি করে। বল হাতে তাইজুল ইসলাম সবচেয়ে ভালো করেছিলেন। নিয়েছিলেন ১২ উইকেট।

তবে অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের ফেরাটা দলে প্রাণচাঞ্চল্য ফেরাতে পারে। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে দুইদিনের ম্যাচে ভালো করেছে সফরকারীরা। দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম (১২৫) ও মাহমুদউল্লাহ (১০২)। আবু জায়েদ রাহী ও শফিউল ইসলাম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ও বোলাররা সুবিধা করতে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জেতা কঠিন কিছু হবে না।

বাংলাদেশের স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আবু জায়েদ রাহী, ইমরুল কায়েস, কামরুল ইসলাম রাব্বি, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও তামিম ইকবাল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোয়াড: জ্যাসন হোল্ডার (অধিনায়ক), দেবেন্দ্র বিষু, ক্রেইগ ব্রাফেট, রোস্টন চেজ, মিগুয়েল কামিন্স, শেন ডোরিচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, শিমরন হেটমায়ের, শাই হোপ, কিমো পল, কিরেন পাওয়েল, কেমার রোচ ও ডেভন স্মিথ।