এশিয়ান গেমসের শেষ ষোলোতে খেলার আত্মবিশ্বাস পুঁজি বাংলাদেশের। ঘরের মাঠ, গ্যালারির সমর্থন নিয়েই সাফ মিশন শুরু করছে লাল-সবুজ। প্রথম ম্যাচে ভুটান চ্যালেঞ্জ জামাল ভুঁইয়াদের। চাপমুক্ত থেকে শিষ্যদের সামর্থ্যের সেরাটা দেয়ার তাগিদ জেমি ডের। অন্যদিকে বাংলাদেশকে ফেভারিট মেনেই নামবে ভুটান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭টায়।
নির্বাসন, প্রস্তুতি ক্যাম্প, প্রীতি ফুটবল শেষে চ্যালেঞ্জ এবার চূড়ান্ত লড়াইয়ের। চাংলিমিথাংয়ে যাদের কাছে হেরে সর্বনাশ হয়েছিল দুবছর পর সে ভুটানই প্রতিপক্ষ প্রথম ম্যাচে।
লাল সবুজ কোচের পরিকল্পনায় গুরুত্ব পাচ্ছে তরুণরা। এশিয়াডে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবলে সাফল্য এলেও সাফে পরিকল্পনা আক্রমণাত্মক ফুটবলের। কোচের পছন্দ ৪-৩-৩ ফরমেশন।
বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে বলেন, এশিয়ান গেমসের সাফল্য প্রত্যাশা বাড়িয়েছে। ছেলেদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে নির্ভার ফুটবলের। প্রতিটি ম্যাচে প্রেক্ষাপট আলাদা প্রতিটি দলের জন্য আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। দুই বছর আগে কি হয়েছিল তা নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। চেস্টা করবো আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে টানা ৭ ম্যাচ জয়শূন্য। মার্চে দায়িত্ব নিয়ে স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন এনেছেন কোচ ট্রেভর মরগান। আগের স্কোয়াডের ১৭ অভিজ্ঞকে জায়গা ছাড়তে হয়েছে তরুণদের জন্য। দলের বড় ভরসা বেঙ্গালুরু এফসি ফরোয়ার্ড চেঞ্চো জিলশেন।
ভুটানের কোচ ট্রেভর মরগান বলেন, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ফেভারিট। তবে আমাদের দলে বেশকজন ভালো খেলোয়াড় আছেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নতুনদের সামর্থ্য প্রমাণের দারুণ সুযোগ। সবশেষ ম্যাচের ফল নিয়ে ভাবছিনা। এরপর দুটো দলই অনেক পাল্টে গেছে