Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এবার টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচেই ৩৭ ছক্কা

gayleএক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েছিল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। তাও সেটি ছিল ওয়ানডে ম্যাচ। সব মিলিয়ে পুরো ম্যাচে খেলা হলো ১০০ ওভার। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বরে ঘটনা। ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দর্শকরা ছক্কাবৃষ্টি দেখেছিল সেদিন। রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, ম্যাক্সওয়েল, ফকনার কিংবা ওয়াটসন- সবার ব্যাটেই ছিল ছক্কা ঝড়।

সব মিলিয়ে ওই এক ম্যাচে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার ব্যাচসম্যানরা মিলে ৩৮টি ছক্কার মার মেরেছিল সেদিন। ক্রিকেটের যে কোনো ফরম্যাটে (টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি) ওটা ছিল সর্বোচ্চ ছক্কার মার।

chardike-ad

এবার রোহিত-ম্যাক্সওয়েলদের সেই ছক্কার রেকর্ড গড়া ম্যাচটিকেও পেছনে ফেলে দিচ্ছিল একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যেখানে খেলা হয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সেই ম্যাচের চেয়ে ৬০ ওভার কম। তবুও ৩৭ ছক্কা মেরেছেন ক্রিস গেইলরা। ঘটনাটি ঘটেছে আফগান প্রিমিয়ার লিগে রোববার রাতের ম্যাচে।

শারজায় অনুষ্ঠিত আফগান প্রিমিয়ার লিগের গ্রুপ পর্বে রোববার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল ক্রিস গেইলের দল বলখ লিজেন্ডস এবং কাবুল জাওনান। এই ম্যাচেই দু’দলের ব্যাটসম্যানরা ছক্কা বৃষ্টি ঝরিয়েছিল। পুরো ম্যাচে রান উঠেছে ৪৬৭টি। প্রথমে ব্যাট করা ক্রিস গেইলের দল বলখ লিজেন্ডস করেছে ২৪৪ রান।

Six

ক্রিস গেইল শুরুতেই ঝড় তোলেন। ৪৮ বলে তিনি খেলেন ৮০ রানের ইনিংস। এর মধ্যে ১০টি ছক্কার মার মারেন তিনি। বাউন্ডারি ছিল মাত্র ২টি। অর্থ্যাৎ, ৮০ রানের মধ্যে ৬৮ রানই ছিল তার বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। বলখ লিজেন্ডসের ব্যাটসম্যানরা মোট ২৩টি ছক্কার মার মারেন। এর মধ্যে গেইলের ১০টি ছাড়াও দরবিশ রাসুলি ৫টি, দিলশান মুনাবিরা এবং মোহাম্মদ নবি মারেন ৩টি করে ৬টি ছক্কা। মিরওয়াইজ আশরাফ মারেন ২টি।

শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে বলখ লিজেন্ডস। জবাব দিতে নেমে কাবুল জাওনানের ব্যাটসম্যান রহমতউল্লাহ জাজাই তো রীতিমত টর্নেডো বইয়ে দেন। একওভারে টানা ৬টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ১২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করার পর তিনি আউট হয়ে যান ৬২ রানে। মোট ৭টি ছক্কার মার মারেন জাজাই।

এছাড়া কাবুল জাওনানের ব্যাটসম্যান শহিদুল্লাহ, কলিন ইনগ্রাম এবং রশিদ খান ছক্কা মারেন ২টি করে মোট ৬টি। লুক রনকি মারেন ১টি। মোট ১৪টি ছক্কার মার আসে কাবুলের ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে। আর একটি কিংবা দুটি ছক্কা হলে রোহিত-ম্যাক্সওয়েলদের ওই ম্যাচকেও ছাড়িয়ে যেতে পারতেন গেইল-জাজাইরা। তবুও ৪০ ওভারের ম্যাচে ৩৭টি ছক্কা মারারর ঘটনা চাট্টিখানি কথা নয়।

ম্যাচে অবশ্য শেষ পর্যন্ত ক্রিস গেইলের দল বল লিজেন্ডস জিতেছে ২১ রানে। তাদের করা ২৪৪ রানের জবাবে কাবুল জাওনান থেমে যায় ২২৩ রানে।