Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অবশেষে আরব আমিরাতে খেলার অনুমতি পেলেন সাকিব

shakibঅবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে বহু আকাংখিত অনাপত্তি পত্রটি পেয়েই গেলেন সাকিব আল হাসান। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টিএক্স-এ খেলার জন্য বিসিবির কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন সাকিব। শুরুতে শোনা গিয়েছিল, ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাকে অনুমতি দেবে না বিসিবি।

তবে গতকাল (মঙ্গলবার) বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছিলেন, সাকিবকে অনাপত্তিপত্র দেয়া হবে। তার কথার পরদিনই (আজ) সেই অনাপত্তি পত্র দিয়ে দেয়া হলো হলো। আরব আমিরাতে গিয়ে খেলার জন্য এখন আর সাকিবের সামনে কোনো বাধা রইলো না।

chardike-ad

যদিও আরব আমিরাতে পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারছেন না বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ইউএই টি-টোয়েন্টি এক্স শুরু হচে ১৯ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সাকিব অনুমতি পেয়েছেন ২৩ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত খেলার। এর কারণ হচ্ছে, ২২ ডিসেম্বর শেষ হবে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ। এরপর আবার ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএল।

আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি এক্স-এ শুধুমাত্র সাকিব আল হাসানই নয়, যোগ দিচ্ছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারও। অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ, যিনি নিউল্যান্ডসে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে এক বছর নিষেধাজ্ঞার সপ্তম মাস কাটাচ্ছেন, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলরাও রয়েছেন এই টুর্নামেন্টে।

আঙ্গুলের ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি সিরিজে খেলতে পারছেন না সাকিব। ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে যখন শেষ ম্যাচটি সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছিল, সেই ম্যাচটিও খেলতে পারেননি সাকিব। এরপর ভারতের বিপক্ষে ফাইনালও খেলতে পারেননি। ফিরে আসতে হয়েছিল দেশে।

এসে দেখেন আঙ্গুলে সংক্রমণ। যেটা নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছিল। সাকিব গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে ফিরেই জানালেন, অস্ত্রোপচার লাগবে না। এক মাসের মধ্যেই ফিরতে পারবেন। তার কয়েকদিন পরই জানা গেলো, আরব আমিরাতে খেলার জন্য অনুমতি চেয়েছেন তিনি।

শুরুতে জানা গিয়েছিল, নানা কারণে এই লিগে খেলার জন্য সাকিবকে অনুমতি দেবে না বিসিবি। কারণ, সামনেই বিশ্বকাপ। সুতরাং, কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিবি। তার আগেই আকরাম খান জানিয়েছিলেন, ঝুঁকি থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও তাকে মাঠে না নামারো সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে, সাকিবের ব্যাপারে কোনো ঝুঁকিই নেবে না বিসিবি।

অথচ, শেষ পর্যন্ত তাকে অনুমতি দিয়েই দিলো বিসিবি। যদিও সাকিব বলছেন, এটা কোনো ঝুঁকির বিষয় নয়। বরং, আরব আমিরাতে খেললে সেটা হবে ভালো প্র্যাকটিস। আজ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এনওসি বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই স্বস্তির। ভালো দিক হচ্ছে, যদি ওই সময়ের আগে আগে ফিট হতে পারি, যদি কিছু ম্যাচ খেলতে পারি, ওই ম্যাচগুলোও যদি খেলতে পারি, তাহলে ভাল প্রিপারেশন হবে। প্রিপারেশন ইন অ্যা সেন্স, যেহেতু খুব বড় একটা ইনজুরি থেকে এখন রিকভারির পথে, তো এই খেলাগুলো আমার দরকার। না খেলার কারণে আমার বেশ বড় একটা গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে। পুরো ফুল রিদমের আসার জন্য আমার এই খেলাগুলো খুবই ইমপরটেন্ট।’

তবে আরব আমিরাতে খেলার অনুমতি পেলেও তিনি ঠিক কবে মাঠে ফিরবেন সেটা এখনই বলতে পারছেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই মাঠে ফিরবেন নাকি আরও সময় নেবেন সে সম্পর্কেও কোনো কিছু বললেন না। এ নিয়ে সাকিবের মন্তব্য, ‘মাঠে ফেরার কোন টাইমফ্রেম নেই। যদি ফিরতে পারি তাহলে ভাল লাগবে। আশা তো থাকবেই যেন ফিরতে পারি। এখনই বলা মুশকিল যে আমি খেলব, এই গ্যারান্টি আসলে নেই। তবে যেভাবে প্রগ্রেস হচ্ছে, ইমপ্রুভ হচ্ছে, তাতে সম্ভাবনা আছে।’