Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রবাসীদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আমিরাতের আকাশ

amirat‘দীর্ঘ চার মাসেও আমরা পাসপোর্ট হাতে পাইনি? সরকার কেন এই বিরল সুযোগ থেকে আমাদের বঞ্চিত করলো। এখন আমাদের কী হবে? প্রবাসীদের কান্নায় আমিরাতের আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। দেশটির সরকার বিরল সুযোগ দেয়ার পরও ধীরগতির পুলিশ ভেরিফিকেশন ও ডেমু-সংক্রান্ত জটিলতায় অনেক প্রবাসী বৈধ হতে পারেনি।’

আবেগাপ্লত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে না পাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এসব প্রবাসী অ্যামনেস্টির বিরল সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। “আমাদের কাজ আমরা সঠিকভাবেই করেছি। কিন্তু পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় ‘জব সিকার’ ভিসার আবেদন করতে পারলাম না। এ দায়ভার কার।” পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নীরব ভূমিকায় প্রবাসীরা বিস্মিত।

chardike-ad

অ্যামনেস্টির সময়সীমা শেষ হওয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের জব সিকার ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। কিন্তু গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার শেষ মুহূর্তে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া বাংলাদেশি প্রবাসীরা ৬ মাসের জব সিকার ভিসার জন্য আবেদন করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

https://www.facebook.com/shirajul.hoque1/videos/10212747225822860/

এই বিষয়ে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মোহাম্মদ ইমরান জানিয়েছেন, যারা পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন কিন্তু বৈধ হতে পারেননি তাদের সবাইকে আগামী সোমবার আবুধাবি দূতাবাস ও দুবাই কনস্যুলেটে আসতে বলা হয়েছে। আমরা তাদের নামের তালিকা করে আমিরাতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অবৈধদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য আবেদন করবো।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আরো কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সোমবার জানানো হবে। তবে প্রবাসীদের (যারা বৈধ হতে পারেননি) আগামী সোমবার দূতাবাস ও কনস্যুলেটে আসতে বলা হয়েছে। আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

https://www.facebook.com/shiblee.sadiq/videos/1892592430839890/

আমিরাত সরকার বিরল সুযোগ দেয়ার পরও ধীরগতির পুলিশ ভেরিফিকেশন ও ডেমু-সংক্রান্ত জটিলতায় অনেক প্রবাসী বৈধ হতে পারেনি। ফলে প্রবাসীরা পাসপোর্ট অধিদফতরকেই দায়ী করছেন। সরকারের অবহেলার কারণে আজ প্রবাসীদের এহেন পরিস্থিতি। সরকার প্রবাসীদের প্রতি একটু সদয় হলে আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না।

গত ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ছিল। এ সময়ের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীদের আবেদন করতে বলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমার মেয়াদ বাড়ানো হয়।