Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

seoulদক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হলো ৪৮তম মহান বিজয় দিবস। আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ১৬ ডিসেম্বর সকালে মান্যবর রাষ্ট্রদূত দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের উপর একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে হিউ ও’ব্রায়ান ইয়ুথ লিডারশীপ (Hugh O’brian Youth Leadership-HOBY) এর ১১ জন কোরিয়ান কিশোর-কিশোরীসহ বাংলাদেশী শিশু-কিশোররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের ইতিহাস, বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা লাভ করতে সক্ষম হয়।

seoulবিকাল ৫ ঘটিকায় বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং কোরিয়ার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু এ পর্বে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান।

chardike-ad

seoulস্বাগত বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং সম্ভ্রমহারানো ২ লক্ষ মা-বোনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের যে অর্জন তা ধরে রাখার জন্য প্রবাসীদের মাতৃভূমির প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার আহ্বান জানান যাতে করে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও আলোকিত বাংলাদেশ উপহার দেয়া যায়। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে মুক্ত আলোচনায় প্রবাসী আলোচকগণ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন।

আলোচনা পর্ব শেষে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিবার ও কোরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করা হয় । সাংস্কৃতিক পর্বের পর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে অতিথিদের আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে আনন্দঘন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।