Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হতে চাইলে

Australiaঅস্ট্রেলিয়াকে অভিবাসনের দেশ বলা হয়। ধারণা করা হয় ১৭৮৮ সাল থেকেই মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন নিতে থাকে। ১৯৪৫ সাল থেকে ৭ মিলিয়ন মানুষ অস্ট্রেলিয়াতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। ১৯৯২-১৯৯৩ সালে প্রায় ৩০ হাজার এবং ২০১৫-২০১৬ সালে ১ লাখ ৭৮ হাজারের মত মানুষ অভিবাসী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া যান।

অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ রয়েছে। যা গত ১০ বছরে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। এই বাড়ার প্রধান কারণ তাদের সহজ অভিবাসন নীতি। ধারণা করা হয়, অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রতিবছর প্রায় ৮ লাখ অভিবাসী নিয়ে থাকে। ৬ লাখ অভিবাসী বিভিন্ন টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা যেমন- স্টুডেন্ট, ওয়ার্কিং হলিডে ও জব ভিসার মাধ্যমে নিয়ে থাকে। আর ২ লাখ অভিবাসী নিয়ে থাকে স্থায়ী অভিবাসী হিসেবে।

chardike-ad

২৫ মিলিয়ন মানুষের দেশে শুধু সিডনি, মেলবোর্ন ও সাউথ ইস্ট কুইন্সল্যান্ড শহরে দুই পঞ্চমাংশ অর্থাৎ ১০ মিলিয়নের কাছাকাছি মানুষ বসবাস করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালে এই দুই শহরে প্রায় ২০ মিলিয়নের কাছাকাছি মানুষ বসবাস করবে। যা তাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

melbourne-australiaএ ধারণা বা সিদ্ধান্তের আলোকে বর্তমান ইমিগ্রেশন মিনিস্টার ডেভিড কোলম্যান নর্দান টেরিটরি ও সাউথ ভিক্টোরিয়া স্টেটের জন্য নিউ রিজিওনাল ইমিগ্রেশন চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। এই চুক্তিকে ডেজিগনেটেড এরিয়া মাইগ্রেশন এগ্রিমেন্ট (ডিএএমএ) বলা হয়। এটি শুধু এনটি (নর্দার টেরিটরি) মালিকদের জন্য। এটি মূলত টেম্পোরারি স্কিলড শর্টেজ ভিসা (সাব ক্লাস-৪৮২)।

নতুন এই ভিসা চুক্তির মাধ্যমে নিয়োগকর্তারা ইংরেজি ভাষার দক্ষতা (আইইএলটিএসে ছাড় দিয়ে) কর্মী নিয়োগ দিতে যাচ্ছে। এই চুক্তির মাধ্যমে একজন কর্মীকে ন্যূনতম ৩ বছর কাজ করতে হবে ওই স্টেটে। আর কেউ ৫ বছর থাকলেই স্থায়ী অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারবে। নতুন করে ভিসা বাড়ানোর দরকার পড়বে না। এই ভিসার মাধ্যমেই অভিবাসী হতে পারবে।

এতে আবেদন করতে পারবেন হর্টিকালচার, মোবাইল প্ল্যান্ট অপারেটর, একোয়া কালচার ফার্মার, আর্বোরিস্ট (গাছের চিকিৎসক), ইলেকট্রিক টেকনিশিয়ান, বেকারি, বার অ্যাটেনডেন্ট, বারিস্টা (কফি শপ), বিউটি থেরাপিস্ট, বয়লার অপারেটর, বাস ড্রাইভার, বুচার, কেবিনেট মেকার, ক্যাবলার, কার পেন্টার, শেফ, কুক, ক্রাউড কন্ট্রোলার, ডেকহ্যান্ড, ডেলিভারি ড্রাইভার, ডেন্টাল অ্যাসিট্যান্ট, ডিজেল মটর মেকানিক, ড্রাইভার (সাধারণ), ফিটার, ওয়েল্ডার, ফ্রুট গ্রোয়ার, গ্রেজার, হেয়ার ড্রেসার, হোটেল সার্ভিস ম্যানেজার, ল্যান্ডস্কেপ গার্ডেনার, মাস্টার ফিশার, মেটাল ফেব্রিকেটর, মেটাল মেকানিক, মটর মেকানিক, মটর পার্টস মেকানিক, নার্সারি পারসন, অফিস ম্যানেজার, প্রেসার ওয়েল্ডার, রিটেল ম্যানেজার, রিটেল সুপারভাইজার, রুফ প্লাম্বার, সিকিউরিটি কনসালটেন্ট, স্টোর পারসন, ক্যাবল জয়েন্টার, ক্যাবল টেকনিশিয়ান, ক্যাবল লাইন ম্যান, ট্যুর গাইডার, ট্রাক ড্রাইভার, টায়ার ফিটার, আপ হোলস্টার, ভেজিটেবল গ্রোয়ার, ওয়েটার ও ফার্স্ট ক্লাস ওয়েল্ডার।

এই ভিসার সুবিধা হচ্ছে- এখানে আইইএলটিএসে ছাড় দিয়ে কর্মী নিয়োগ করা হবে। আর এই ভিসায় একজন কর্মীকে বাৎসরিক ন্যূনতম ৫৩,৯০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিতে বাধ্য থাকবে। মূলত সিডনি, মেলবোর্ন ও সাউথ ইস্ট কুইন্সল্যান্ড অঞ্চলে মানুষের চাপ কমানো, নর্দান টেরিটরি ও সাউথ ওয়েস্ট ভিক্টোরিয়া অঞ্চলে শ্রমিকের ঘাটতি মেটানোর জন্য ভিসা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাইগ্রেশন ওয়েবসাইট www.australia.gov.au ভিজিট করতে পারেন।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ