নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ঝটিকা সফর করেন নড়াইলের-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি। ওই সময় পুরো হাসপাতালে মাত্র একজন ডাক্তারের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। রীতিমত ফোন করে ডাক্তারের কাছে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান মাশরাফি। পরে ওই হাসপাতালের চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা হলেন নড়াইল সদর হাসপাতালের সার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আখতার হোসেন, কার্ডিওলজির জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শওকত আলী ও ডা. রবিউল আলম এবং মেডিকেল অফিসার ডা. এ এসএম সায়েম।
বিনা অনুমতিতে হাসপাতালে অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এই চার চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২৮ এপ্রিল, রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদের ওএসডি করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়।
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি অবশ্য এবার পাশে দাঁড়িয়েছেন ওই চিকিৎসকদের। তার অনুরোধে নড়াইল সদর হাসপাতালের সেই চার চিকিৎসকের শাস্তি স্থগিত করা হয়েছে। ওই চার চিকিৎসককে আপাতত নড়াইল সদর হাসপাতালেই কর্মরত থাকার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, সোমবার দুপুরে মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল ফোনে মৌখিকভাবে বিষয়টি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আ ফ ম মশিউর রহমান বাবুকে জানানো হয়।
এ নিয়ে আ ফ ম মশিউর রহমান বাবুর ভাষ্য, সম্প্রতি সংসদ সদস্য মাশরাফির ঝটিকা অভিযানের পর চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয় মন্ত্রণালয়। পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি মাশরাফি জানার পর তিনি নিজেই মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করেছেন তাদের (চার চিকিৎসককে) স্ব স্ব দায়িত্বে বহাল রখার জন্য।