সাগরপথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবিতে যে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৬ যুবকের পরিচয় জানা গেছে। তাদের বাড়ি সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায়। পরিচয় পাওয়া ছয় জনের মধ্যে চার জনেরই বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। তারা হচ্ছেন- উপজেলার সেনেরবাজার কটালপুর এলাকার মুহিদপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ হোসেন (২৪), একই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৪) ও মানিককোনা গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে আফজাল মোহাম্মদ (২৫)। অন্য দুজন হচ্ছেন- সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ছোট ভাই কুলাউড়ার ভুকশিমাইলের আহসান হাবিব শামীম এবং তার শ্যালক গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছোট ছেলে কামরান আহমদ মারুফ।
জানা গেছে, ইতালি যাওয়ার জন্য সিলেটের রাজা ম্যানশনের ইয়াহিয়া ওভারসীজ নামের একটি এজেন্সির সাথে ৮ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জের বেশকয়েকজন যুবক। কিন্তু সেই স্বপ্নের ইউরোপে যাওয়া হয়নি তাদের। সাগরে ট্রলার ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাদের। জিন্দাবাজার রাজা ম্যানশনের তৃতীয় তলার ১১৭ নম্বর দোকান ইয়াহিয়া ওভারসীজ। এজেন্সির মালিক এনাম আহমদের বাড়িও ফেঞ্চুগেঞ্জে। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একাধিকবার গিয়েও এজেন্সির অফিস তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর থেকে ইয়াহিয়া ওভারসীজ নামে ব্যবসা করছেন এনাম আহমদ। এর আগে অন্য একটি মার্কেটে তার অফিস ছিল।