জাপানের টোকিওর কাওয়াসাকিতে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ স্কুলশিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ধারালো ছুরি নিয়ে অতর্কিতভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন।। এ হামলায় স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন স্কুলছাত্রী, অন্যজন ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এবং অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৬ জনই স্কুল শিক্ষার্থী। ঘটনার পর হামলাকারী নিজে আত্মহত্যা করে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে টোকিওর নিকটবর্তী শহরটিতে এ ঘটনা ঘটে। সকালে বেসরকারি কারিতাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্কুল বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ধারালো ছুরি নিয়ে অতর্কিতভাবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি ছুরি দিয়ে নিজের ঘাড়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তার মৃত্যু হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে টেলিফোনে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচারিত ফুটেজে জরুরি বিভাগগুলোকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তাঁবু স্থাপন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দুইটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে হামলার কারণ এখনও জানা যায়নি। জাপানে অপরাধের হার খুবই কম। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে বেশ কয়েকটি ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০০১ সালে ওসাকার এক স্কুলে ছুরি নিয়ে এক ব্যক্তি হামলা চালায়। সেসময় আটজন নিহত হন।
