Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

biman-787বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রীকে আনতে যাওয়া বাংলাদেশ বিমানের ড্রিমলাইনারের একজন পাইলটকে পাসপোর্ট না থাকায় আটকে দিয়েছে কাতারের দোহা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

একটি সংবাদসূত্রে জানা যায়, ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ নামের ওই পাইলট এখন দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে অবস্থান করছেন। একটি বেসরকারি বিমানের ফ্লাইটে তার পাসপোর্ট দোহায় পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী, পাসপোর্ট ছাড়া কারো দেশত্যাগ কিংবা অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই। যে বিমান প্রধানমন্ত্রীকে বহন করে দেশে নিয়ে আসার কথা, তার পাইলট পাসপোর্ট ছাড়া কীভাবে দেশের ইমিগ্রেশন পার হলেন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

chardike-ad

বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার নিয়ে দোহা বিমানবন্দরে যান। কিন্তু তার কাছে পাসপোর্ট না থাকায় সেখানকার ইমিগ্রেশনে তাকে আটকে দেয়। পরে ফজল মাহমুদের দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট অপারেশন কক্ষের লকারে তার পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

জানা যায়, বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেন বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মহাব্যবস্থাপক (জিএম সেন্ট্রাল কন্ট্রোল) আশরাফ হোসেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন জামিল আহমেদের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি পাসপোর্ট উদ্ধার করেন এবং এই পাসপোর্ট কাতারে পাঠানোর চেষ্টা নেন।

আজ বৃহস্পতিবার প্রথমে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট দোহা বিমানবন্দরে পাঠানোর চেষ্টা করে বিমান বাংলাদেশ। কিন্তু কাতার এয়ারলাইন্স তাতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে পাসপোর্টটি কাতার পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। রিজেন্টও ওই পাসপোর্ট বহনে অস্বীকৃতি জানায়।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহিবুল হক বলেন, বিষয়টি ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের ব্যক্তিগত গাফিলতি। তিনি দেশে ফিরে আসার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভিভিআইপিকে বহন করতে যাওয়া ফ্লাইটের কোনো ক্রুর পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়া ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করে বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, `এটি বড় ধরনের অপরাধ। ফজল মাহমুদ দেশে আসার পর তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমানের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাকিল মিরাজ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখে জানাতে পারব। এখন ছুটি তো তাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দেশে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে ফিনল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ৮ জুন তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তাকে বহন করতে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার কাতার অবস্থান করছে।