Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

saudi-night-clubচালু হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে গেল সৌদি আরবের বিতর্কিত হালাল নাইটক্লাব। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় নাইটক্লাবটিকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুবাই থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বিজনেস ম্যাগাজিন অ্যারাবিয়ান বিজনেস রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।

নাইটক্লাব ব্র্যান্ড ‘হোয়াইট’ সৌদির জেদ্দায় তাদের একটি শাখা চালু করতে চেয়েছিল। এজন্য সব প্রস্তুতিও নিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত উদ্বোধনের দিন মার্কিন গায়ক নে-ইয়ো আসার আগেই এটি বন্ধ ঘোষণা করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

chardike-ad

এর আগে গত বুধবার ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ওই ভিডিওতে বলা হয়, জেদ্দায় একটি হালাল নাইটক্লাব চালু হতে যাচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের অ্যালকোহল সরবরাহ করা হবে না। শুধুমাত্র যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তারাই এখানে ঢোকার সুযোগ পাবে। রাত ১০টা থেকে ভোর তিনটা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই নাইটক্লাব।

ভিডিওতে আরও বলা হয়, নাইটক্লাবটিতে বিলাসবহুল ক্যাফে, লাউঞ্জ ও ওয়াটারফ্রন্ট থাকবে। এর সঙ্গে থাকবে বিশ্বের খ্যাতনামা মিউজিক গ্রুপের পরিবেশনা। ইলেক্ট্রনিক ডান্স মিউজিক, কমার্সিয়াল মিউজিক, আরএনবি এবং হিপহপ মিউজিক উপভোগ করা যাবে এখানে। এই নাইটক্লাবের লাউঞ্জের একটি অংশে থাকবে ড্যান্স ফ্লোর। নারী পুরুষ সবার ড্যান্সের জন্য এটা উন্মুক্ত থাকবে। হোয়াইটের সব ধরনের সুযোগ সুবিধাই এখানে পাওয়া যাবে। তবে এই নাইটক্লাবে মদ পাওয়া যাবে না। কারণ সৌদিতে মদ কেনাবেচা অবৈধ। কেউ যদি মদ কেনাবেচা করে তবে তাকে শাস্তি পেতে হয়।

তবে নাইটক্লাবের আগে ‘হালাল’ শব্দ নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনিতে নাইটক্লাবকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা যায়। যেখানে গভীর রাত পর্যন্ত নাচ, গান ও মদ্য পান চলে। এই অবস্থায় নাইটক্লাব আবার হালাল হয় কী করে-এমন প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন সমালোচকরা। অবশেষে উদ্বোধনের আগেই বন্ধ করে দেয়া হলো এই নাইটক্লাব।

এক টুইটবার্তায় সৌদির বিনোদন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নাইটক্লাবটিকে লাইসেন্স দেয়া হয়নি। এ ছাড়া তারা পুরোপুরিভাবে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।