Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

হঠাৎ অবসরের ঘোষণা আমিরের

amirবয়স মাত্র ২৭। এই সময়ে তো ক্যারিয়ারের সুন্দর সময়টা মাত্র শুরু হয় ক্রিকেটারদের। আর ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত ফরমেট তো টেস্টই, যেখানে সাদা পোশাকে মাঠ মাতানো গর্বের এক বিষয়। অথচ মোহাম্মদ আমির অল্প বয়সেই বিদায় বলে দিলেন টেস্ট ক্রিকেটকে। আজ (শুক্রবার) টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি এই পেসার, তবে সীমিত ওভারে খেলা চালিয়ে যাবেন।

২০০৯ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল আমিরের। অভিষেক টেস্টেই পান ৬ উইকেট। এরপর টানা টেস্ট খেলেছেন ২০১০ সালের আগস্ট পর্যন্ত। স্বপ্নময় ক্যারিয়ারে হঠাৎই নেমে আসে অন্ধকার। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই সিরিজেই ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন আমির।

সেই বিভীষিকাময় দিনগুলো কাটিয়ে আবারও আলোর দেখা পান ২০১৬ সালে। ওই বছরের জুলাই মাসে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্ট ক্রিকেটে ফেরেন আমির। এরপর খেলেছেন আরও ২২টি টেস্ট। পারফরম্যান্সও খারাপ ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ৩ টেস্টে পেয়েছিলেন ১২ উইকেট। কে জানতো, সেটাই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ?

সবমিলিয়ে পাকিস্তানের হয়ে ৩৬ টেস্টে ৩০.৪৭ গড়ে ১১৯ উইকেট শিকার আমিরের। ইকোনমি ২.৮। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৪ বার। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ২০১৭ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ৪৪ রানে নিয়েছিলেন ৬টি উইকেট।

এমন সুন্দর এক ক্যারিয়ারের হঠাৎই ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমির বলেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবং ঐতিহ্যবাহী এই ফরমেটে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য ছিল সম্মানের। তবে আমি এই লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে করে সাদা বলের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে পারি।’

chardike-ad

সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হচ্ছে। এই সময়টার জন্য পাকিস্তান দলে প্রতিভাবান কিছু পেসার এসে গেছেন বলেই মনে করছেন আমির। তিনি বলেন, ‘এটা (অবসর) খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। আমাকে বেশ ভাবতে হয়েছে। তবে সামনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, পাকিস্তান দারুণ কিছু তরুণ ফাস্ট বোলার পেয়েছে। এখনই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলার সঠিক সময় আমার, যাতে করে নির্বাচকরা ভালোমতো পরিকল্পনা সাজাতে পারেন।’

টেস্টের বিদায়ী সময়ে সতীর্থ এবং প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন আমির। আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নিজের কোচকে, যিনি ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময় সাহায্য করেছেন।