ম্যাচের আগে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, আমাদের ফিরতেই হবে। কিন্তু মাঠে তার প্রতিফলন দেখাতে পুরোটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ দল। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, সব বিভাগেই চরম ব্যর্থতায় সিরিজ হেরে গেল ১ ম্যাচ হাতে রেখেই। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচে একচেটিয়া জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এবারের জয়টি এসেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় দিয়ে সিরিজে ফেরার আশা দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও কোচ সুজন। কিন্তু মাঠের ১১ জন জয়ের জন্য তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেননি। শুধুমাত্র মুশফিকুর রহিমের ৯৮ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু নেই বাংলাদেশের পক্ষে।
২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয় দুর্দান্ত। বিনা উইকেটেই ৭১ রান তুলে ফেলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অভিসকা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারত্নে। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজ ভাঙেন সেই জুটি। এরপরও ফার্নান্দো ও কুশল পেরেরাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা ফার্নান্দো ও পেরেরাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা স্বস্তি ফেরান মোস্তাফিজ। নিজের করা চতুর্থ ওভারে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ফার্নান্দোকে। আউট হয়ে ফেরার আগে ৭৫ রানে ৮২ রান করেন এই লঙ্কান ওপেনার।
নিজের ষষ্ঠ ওভারে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ বানিয়ে পেরেরাকেও ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। ফেরার আগে ৩৪ বলে ৩০ রান করেন পেরেরা।
এর আগে, ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে করুনারত্নেকে ফেরান মিরাজ। ২৯ বলে ১৫ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন করুনারত্নে।
১৪৬ রানে ৩ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে বাকি পথটা বেশ সহজেই পার করান কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন মেন্ডিস। আর ম্যাথিউসের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৫২ রান।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বিপর্য়য়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানরা দ্রুতই ফিরতে থাকেন প্যাভিলিয়নে। তবে মুশফিকুর রহিম ও মেহেদির ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ২৩৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৯৮ রানে। ১১০ বলের ইনিংসটি ৬ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৪৩ রান।