Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

লন্ডন থেকে ‘পোকা’ এনে দেশে খামার গড়েছেন প্রবাসী খলিলুর

kholilurলন্ডন থেকে ‘পোকা’ এনে সিলেটের বিশ্বনাথে খামার করেছেন খলিলুর রহমান নামের এক প্রবাসী। উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের মৃত মাস্টার আশরাফুর রহমানের পুত্র খলিলুর রহমান তার নিজ বাড়ির পাশে হাজী বায়োসাইকেল কোম্পানী নামে প্যারেট পোকা (ব্ল্যাক সোল্ডার ফ্লাই) এর এই খামারটি করেছেন। এধরণের পোকার খামার বিশ্বনাথে এই প্রথম করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী খলিলুর রহমান নিজ জন্মভূমি বিশ্বনাথে একটি কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগীর খামার করার পরিকল্পা করেন। কিন্ত কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগীর খাদ্যের মূল্য বেশী হওয়ায় তিনি চিন্তা করেন কিভাবে কম মূল্যে কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগীর খাবার সংগ্রহ করা যায়। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন একটি ‘প্যারেট পোকা’র খামার করার। যাতে কম মূল্যে খামারের কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগীর পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহ সম্ভব হবে। তাই তিনি যুক্তরাজ্যর একটি ফার্ম থেকে ১৫০ গ্রাম (প্রায় দেড় শত পোকা) পোকা সংগ্রহ করেন এবং এই পোকা বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি খামার তৈরী করে গত ২৬ জুন থেকে শুরু করে ‘পোকা’র চাষ।

chardike-ad

শনিবার সরেজমিন খলিলুর রহমানের খামারটিতে গিয়ে দেখা যায়, একটি টিনসেড ঘরের ভিতরে ৫টি বড় মশারি দিয়ে সুন্দর করে তৈরী করা হয়েছে ৫টি খাঁচা। খাঁচার ভিতে রয়েছে পোকা। আর এই পোকার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিত্যক্ত বিভিন্ন খাবার (ওয়েস্ট ফুড)।

খলিলুর রহমান জানান- পাখি ও মুরগীর পুষ্টিকর খাবার ‘প্যারেট পোকা’। এই পোকায় রয়েছে ৪০% প্রোটিন ও ২০% ফ্যাট। একটি স্ত্রী পোকা ৫০০ থেকে ৬০০টি ডিম পাড়তে পারে। ডিম থেকে বাচ্চা (লার্ভা) জন্ম নেয়। এরপর ২১দিনে পোকা পরিপূর্ণ হলে তা পাখি ও মুরগীর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৫ দিনে একটি পোকা ডিম দেয়ার উপযুক্ত হয় এবং ডিম দেওয়ার পরই ওই পোকা মারা যায়। পোকার খাদ্য হিসেবে উচ্ছিষ্ট ও পঁচা খাবার ব্যবহৃত হয়। চাষের জন্য প্রতি কেজি ১২ হাজার টাকা দামে এবং পাখি ও মুরগীর খাবারের জন্য ৩৫-৪০ টাকা দামে প্রতি কেজি পোকা বিক্রয় করা সম্ভব। এটি একটি লাভজনক খামার। খামারে তিন ধরণের (ভিটল, কিক্রেটস্ ও ব্ল্যাক সোল্ডার ফ্লাই) পোকা চাষ করা যায়।

খলিলুর রহমান বলেন- বাংলাদেশে ‘বায়োকনর্ভাশন ইনোভেটিভ’ সেন্টার শুরু করার লক্ষ্যে ১৫০ গ্রাম (প্রায় ১৫০ টি) পোকা ২৫০ টাকায় ক্রয় করি। বর্তমানে আমার খামারে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার পোকা রয়েছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আরো বড় খামার তৈরী করার পরিকল্পনা তার রয়েছে বলে তিনি জানান।