ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিলেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক হিসেবে যতটা দায়িত্ব নেয়া প্রয়োজন, পুরোটাই নিলেন নিজের কাঁধে। তাতেই অবশেষে আফগানবধ সম্ভব হলো। ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এই ত্রিদেশীয় সিরিজেও প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার আর সে সুযোগ দিল না টাইগাররা। চট্টগ্রামে সাকিবের দুর্দান্ত
এবারও আফগান বাধা কাটাতে পারল না বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজেও আফগানদের বিপক্ষ ২৫ রানে হারলো সাকিব আল হাসানরা। আফগানিস্তানের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করতে পারে বাংলাদেশ। এই নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল
স্থান, কাল, পাত্র- সবই আলাদা। শুধু প্রতিপক্ষ দেশ সেই আফগানিস্তান। চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার দুরের শহর তাজিকিস্তানের দুশানবেতে থেকেও এলো হারের খবর। চট্টগ্রামে ছিল ক্রিকেটে, দুশানবেতে ফুটবলে। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ক্রিকেটের পর ফুটবলেও কাবলিওয়ালাদের কাছে পরাজয় ঘটলো বাংলাদেশের। আজ (মঙ্গলবার) তাজিস্তানের রাজধানীতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে কাতার-২০২২ বিশ্বকাপ
ব্যর্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। ক’দিন আগেই হতাশা নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরেছে জাতীয় দল। সেই হতাশা এবার নতুন মাত্রা যোগ করল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে ড্র করে শেষ পর্যন্ত সিরিজ হার মানতে হয়েছে তাদের। কেননা প্রথম ম্যাচে আফগানদের কাছে ৭ উইকেটের শোচনীয়
ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশের মনে যেন খানিক ভয়ই ঢুকিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু সেসবকে থোড়াই কেয়ার করে আফগানদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অসাধারণ নৈপুণ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৬২ রানের ব্যবধানে। ব্যাটে-বলে ম্যাচের অবিসংবাদিত নায়ক সাকিব আল হাসানই।
সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখার সংকল্প নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় রোজ বোলে শুরু হবে ম্যাচটি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছে বাংলাদেশ। শেষ চারে খেলতে হলে বাকি তিন ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
বিশ্বকাপে খেলতে আসার আগে থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল আফগান ক্রিকেট বোর্ড। হঠাৎ করে আসগর আফগানকে বাদ দিয়ে অধিনায়ক করা হয় গুলবাদিন নাইবকে। এ নিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে তৈরি হয় তুমুল বিতর্ক। সব পেছনে ফেলে তবুও তারা আসলো বিশ্বকাপ খেলতে। কিন্তু বিশ্বকাপে এসেই বড় বিতর্কের জন্ম দিলো আফগান টিম ম্যানেজমেন্ট। ইনজুরির
পুরো ম্যাচের পরতে পরতে ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান কী বোলিংটাই না উপহার দিলেন! শেষ ওভারে মাত্র ৮ রান প্রয়োজন আফগানদের। সেখানে তিনি রান দিলেন কেবল ৪টি। নিলেন একটি উইকেট। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ রানের অবিশ্বাস্য এবং শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার আশা টিকে রইলো বাংলাদেশের।
টস জিতে আগের ম্যাচে বোলিং নিয়েছিলেন সাকিব কিন্তু এবার নিলেন ব্যাটিং। ভাগ্যকে পাল্টানোর কী নিদারুণ চেষ্টা! স্লো এবং লো পিচে ১৫০ রানই উইনিং স্কোর। সাকিবরা করতে পারলেন মোটে ১৩৪। এক রশিদ খানকে মোকাবেলা করতেই হিমশিম খেতে হলো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। চারজন ব্যাটসম্যানই বর্তমান বিশ্বের সেরা এই বোলারের শিকারে পরিণত হন। বাংলাদেশকে