যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাজধানীর রাস্তায় টহলরত বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পকে “এখনই বিদায় করতে হবে” বলেও স্লোগান তোলা হয়। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
এএফপি জানিয়েছে, শুধু ওয়াশিংটন নয়, ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্বাধীন অন্য শহরগুলোতেও দমন-পীড়নের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। শিকাগো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি অভিবাসীদের বহিষ্কারের হুমকি দেন। এ ঘটনায় শহরজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা ১৯৭৯ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধভিত্তিক বিখ্যাত চলচ্চিত্র “অ্যাপোক্যালিপস নাউ”-এর প্যারোডি করে সৃজনশীল প্রতিবাদ জানান।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, “উই আর অল ডিসি” শীর্ষক বিক্ষোভে অংশ নেন অবৈধ অভিবাসী ও ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থকেরা। তারা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ট্রাম্পবিরোধী নানা বার্তা প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- “ট্রাম্পকে এখনই বিদায় করতে হবে”, “ডিসিকে মুক্ত করো”, “স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলো”।
অ্যালেক্স লফার নামের এক অংশগ্রহণকারী বলেন, “আমি এসেছি ডিসির দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। আমরা কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরোধিতা করছি। ফেডারেল পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডকে রাস্তা থেকে সরাতে হবে।”
অন্যদিকে, রয়টার্স জানায়, ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকার অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই আইসিই এজেন্ট ও সামরিক যান শিকাগোতে পাঠিয়েছে এবং আরও পাঠানোর পরিকল্পনাও করছে।
কেসি নামের এক বিক্ষোভকারী সতর্ক করে বলেন, “ডিসিতে যা হচ্ছে, সেটাই অন্য একনায়কতান্ত্রিক সরকারগুলোও করে থাকে। এখন যদি মানুষ চুপ থাকে, তাহলে পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যান্য জায়গাতেও একই কাজ করা হবে। তাই দেরি হওয়ার আগেই এটি থামাতে হবে।”
ওদিকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযান শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে অভিযান চালাচ্ছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। শনিবার নিউইয়র্ক টাইমস এবং বোস্টন গ্লোব জানায়, ‘অপরাধে জড়িত বিদেশিদের’ লক্ষ্য করেই এই ধরপাকড় অভিযান চলছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং তাদের অভিবাসন ও শুল্ক কার্যকরবিষয়ক শাখা আইসিই এ অভিযানের নাম দিয়েছে “প্যাট্রিয়ট ২.০”। এর আগে গত মে মাসে চালানো অভিযানের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়া হয়। আগের অভিযানে প্রায় এক হাজার ৫০০ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
