নেপালে জেন জি বিক্ষোভে সরকার পতনের পর প্রতিবেশী ভারতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনে বিহার অচল হওয়ার একদিন পর এবার বিক্ষোভে উত্তাল হলো আসাম।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আসামের তিনসুকিয়া জেলায় মোড়ান সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের মূল দাবি— অবিলম্বে মোড়ানদের ‘তফসিলি উপজাতি’ (এসটি) মর্যাদা দেওয়া।
অল মোড়ান স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএমএসইউ) নেতৃত্বে তালাপ, কাকোপাথার ও মার্ঘেরিটার ধারাবাহিক কর্মসূচির পর তিনসুকিয়া শহরে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আসামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের সফরের আগে এই আন্দোলন পুরো রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় বরগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাঠ থেকে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন।
সমাবেশে এএমএসইউ সভাপতি পোলিন্দ্র বরা অভিযোগ করে বলেন, ‘মোদী নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজেপি সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যে মোড়ানসহ ছয়টি সম্প্রদায়কে এসটি মর্যাদা দেওয়া হবে। কিন্তু ১০ বছর কেটে গেলেও কিছুই হয়নি। সরকার আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে যদি এসটি মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত স্বায়ত্তশাসনের দাবি পূরণ না হয়, তবে আরও কঠোর আন্দোলন হবে।
এএমএসইউ সাধারণ সম্পাদক জয়কান্ত মোড়ান বলেন, ‘কংগ্রেস আমাদের ঠকিয়েছে, এজিপি ঠকিয়েছে, আর এখন বিজেপিও একই কাজ করছে। আমাদের সবসময় রাজনৈতিক খেলোয়াড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে।’
বিক্ষোভকারীরা সরকারের কাছে দাবি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে, নইলে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ব্যাপক অর্থনৈতিক অবরোধ। বিক্ষোভ শেষে তিনসুকিয়ার চারিআলিতে এক প্রতিবাদ সভা হয়, যেখানে ছাত্রনেতারা মোড়ান সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সূত্র: আসাম ট্রিবিউন






































