বৃহস্পতিবার । ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

হামাসের আংশিক সম্মতিতে আশাবাদী ট্রাম্প, বললেন ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধ করতে হবে


trump

যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনায় আংশিক সম্মতি দেওয়ায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, হামাস স্থায়ী শান্তির পথে অগ্রসর হতে প্রস্তুত।

গত শুক্রবার হামাসকে তাঁর প্রস্তাব মানার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ট্রাম্প সতর্ক করেন, রোববার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সাড়া না দিলে “নরক যন্ত্রণা” ভোগ করতে হবে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা আংশিকভাবে পরিকল্পনা মেনে নিতে রাজি।

বিবৃতিতে বলা হয়, জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি আছে হামাস। তবে প্রস্তাবের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নিয়ে আরও আলোচনার দাবি জানিয়েছে তারা।

হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে বলেন, “হামাসের সদ্য প্রকাশিত বিবৃতির ভিত্তিতে আমি বিশ্বাস করি, তারা স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত। ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা জিম্মিদের নিরাপদে ও দ্রুত মুক্ত করতে পারি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, চলমান সংঘাতের মধ্যে জিম্মি মুক্তি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

এর আগে হোয়াইট হাউস ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করে, যাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সমর্থন জানান। ওই পরিকল্পনায় গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মি ফেরত দেওয়া এবং মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ হস্তান্তরের প্রস্তাব রাখা হয়। বিনিময়ে ইসরায়েলের হাতে আটক শত শত গাজাবাসীকে মুক্তি দিতে হবে।

ট্রাম্প তাঁর পোস্টে আরও বলেন, “যেসব বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি, সেগুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলাপ চালাচ্ছি। এটি শুধু গাজা নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা।”

এদিকে হামাস জানিয়েছে, বন্দিবিনিময়ে রাজি হলেও গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা ও ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তাদের প্রস্তাব, গাজার শাসনভার একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারের হাতে দেওয়া হোক, যা জাতীয় ঐকমত্য এবং আরব ও ইসলামি বিশ্বের সমর্থনের ভিত্তিতে গঠিত হবে।

সূত্র: আল–জাজিরা ও বিবিসি