
ভারত সফরের অংশ হিসেবে শনিবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। ওই ইভেন্টে মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ছবি তোলার পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন টালিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি। ছবি প্রকাশের পরই সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে ঘিরে শুরু হয় সমালোচনা ও ট্রল। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে ফেসবুক এবং পরে থানায় অভিযোগ করেন শুভশ্রীর স্বামী, নির্মাতা ও বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। এবার পুরো ঘটনাটি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন শুভশ্রী নিজেই।
শুভশ্রী জানান, মেসির সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী শনিবার সকালে নির্দিষ্ট একটি হোটেলে পৌঁছান তিনি। সেখানেই প্রথমবার মেসির সঙ্গে তাঁর দেখা হয় এবং ছবি তোলা হয়।
অভিনেত্রী বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি হোটেলে পৌঁছান। সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১৫ মিনিটের মধ্যে মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ছবি তোলার পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় মেসির জনসংযোগ দলের পক্ষ থেকে তাঁকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তাদের ভাষ্য ছিল, মেসিকে ঘিরে নানা ধরনের ব্যবস্থাপনা থাকায় শুভশ্রী সেখানে গেলে কাজের সুবিধা হবে।
বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি থেকে কেন শুধু তাঁকেই আমন্ত্রণ জানানো হলো এবং ক্ষমতাসীন দলের বিধায়কের স্ত্রী বলেই কি তিনি বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে শুভশ্রী বলেন, এসব প্রশ্নের উত্তর আয়োজক পক্ষের জনসংযোগ টিমই ভালোভাবে দিতে পারবে।
তিনি আরও জানান, মাঠের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে দেখেই তিনি সেখান থেকে সরে যান। পুরো ঘটনার দায় আয়োজকদের ওপরই বর্তায় বলে তাঁর দাবি।
সমালোচনার জবাবে শুভশ্রী বলেন, মাঠের পাশের তাঁবুতে বসেও তিনি নিজে মেসিকে ঠিকভাবে দেখতে পাচ্ছিলেন না। সে ক্ষেত্রে তিনি কীভাবে দর্শকদের দেখায় বাধা হতে পারেন- তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, হোটেলে গিয়ে ছবি তোলা কি অপরাধ? ভুল সময়ে প্রযুক্তিগত কারণে ছবি পোস্ট হওয়াটা তাঁর ভুল হতে পারে, তবে সেটি নিয়ে এত আক্রমণ অযৌক্তিক।
ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভশ্রী বলেন, তিনি একজন নারী এবং বাংলা ছবির অভিনেত্রী বলেই কি তাঁকে আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে? বলিউডের অভিনেত্রী করিনা কাপুর কিংবা অভিনেতা শাহরুখ খানের সঙ্গে মেসির সাক্ষাৎ নিয়ে তো প্রশ্ন ওঠেনি। এমনকি তাঁকে নিয়ে ব্যক্তিগত কটাক্ষও করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে নারীদের এভাবে আক্রমণ করা কতটা যৌক্তিক- সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা








































