প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবিপ্লব ঘটিয়ে ‘এক এশিয়া’ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন-অ্যাসোসিওর ৩১তম সম্মেলন। শুক্রবার সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা নামবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২১টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের তিন দিনের এই মিলন মেলার।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আইসিটি ইন এগ্রিকালচার ট্রান্সফরমেশন বিষয়ক কারিগরি অধিবেশন থেকে কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন বক্তারা।
বক্তারা জানান, লক্ষ্য পূরণে এরই মধ্যে পুরো ভিয়েতনামে ফাইবার অপটিক ক্যাবল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে এআইএস (এগ্রিকালচার ইনফরমেশন সিস্টেম) সফটওয়্যার। এটা দিয়ে আবহাওয়ার খবর, বাতাসের আর্দ্রতা, তাপমাত্রা, কীটনাশক প্রয়োগের সময় ইত্যাদি জানা যাবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের দরদাম জেনে নিতে পারবেন এআইএস ব্যবহার করে। আগামীতে কৃষি সহায়ক অ্যাপস উন্নয়নের মাধ্যমে এই উদ্যোগকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
সম্মেলনের আয়োজক ভিয়েতনাম ইনফরমেশন সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স-ভিনাসার সভাপতি তুরং গিয়া বিন জানিয়েছেন, ভিয়েতনামে স্মার্ট ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম চালু করে যানজট কমানো হয়েছে। এ ছাড়া দূরশিক্ষণ ও কৃষি খাতে আইসিটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্মেলনে টেকসই কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে চলতি শতাব্দীতে এশিয়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অ্যাসোসিওর বর্তমান সভাপতি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফি।
অ্যাসোসিওর সদস্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ওয়াহিদুজ্জামান ও নির্বাহী সদস্য এ টি শফিকউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আহমেদ চৌধুরী, প্রকৌশলী সুব্রত সরকার, আহসানুল ইসলাম নওশাদ, মঞ্জুরুল হক, হাসান কাজী মাহমুদুল, আবু নাছের এবং আবদুল মালাক খান সম্মেলনে অংশ নেয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।