খুনের অভিযোগে বিশ্বের কয়েকটি দেশে মোট ৫০ জন বাংলাদেশী কর্মীর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড রহিতকরণের জন্য সমঝোতা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যার অভিযোগে বিশ্বের কয়েকটি দেশে ৩৫ জন বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা বিচারাধীন।
বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, হত্যা মামলায় সৌদি আরবে ১২ জন, দুবাইয়ে ২৩ জন, আবুধাবীতে ১ জন, কুয়েতে ১২ জন, বাহরাইনে ১ জন, সিঙ্গাপুরে ১ জনসহ মোট ৫০ জন কর্মীকে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্ত করার লক্ষ্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে নিহত ও অভিযুক্ত উভয় পরিবারের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া হয়। ইতিমধ্যে ২৯ জন দুবাইয়ে ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জন এবং কুয়েতে ১২ জনের মধ্যে ১০ জন) কর্মীর মুত্যুদণ্ড রহিতকরণের জন্য সমঝোতা হয়েছে এবং ক্ষমাপত্র দূতাবাসে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২১ জন কর্মীর মৃত্যুদণ্ড সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক রহিত করা হয়। বাকি আটজন কর্মীর রায় অপেক্ষমাণ।
মন্ত্রী জানান, হত্যার অভিযোগে সৌদি আরবে ১০ জন, কুয়েতে ১ জন, দুবাইয়ে ১৫ জন, ওমানে ৩ জন, কাতারে ৩ জন, মিশরে ১৭ জন, বাহরাইনে ১ জনসহ মোট ৩৫ বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা বিচারাধীন। অভিযুক্ত এসব বাংলাদেশী নাগরিককে মুক্ত করতে দূতাবাসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরে একজন কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হলেও পরবর্তীতে আপিল রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
৬ বছরে বিদেশে সাড়ে ২৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান বেগম লুৎফা তাহেরের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, বর্তমান সরকারের সময়ে ২০০৯ সাল থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত মোট ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪১ জন কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩ লাখ ৭ হাজার ৮৮ জন কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থান লাভ করেছে।
এ কে এম মাইদুল ইসলামের (কুড়িগ্রাম-৩) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিএমইটিতে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী বিগত ১০ বছরে (নভেম্বর ২০০৪ থেকে অক্টোবর ২০১৪) মোট ৫১ লাখ ৭১ হাজার ৪৫৩ জন কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে।