ঘটনা এতদূর গড়াবে জানলে হয়তো বেচারি প্লেনে বসে বাদাম খাবার চিন্তাও মাথায় আনতেন না! উড্ডয়নরত বিমানে ‘চাহিবামাত্র’ বাদাম সরবরাহ করতে না পারায় বিমানকর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ করে মাসখানেক ধরেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়ে আছেন কোরিয়ান এয়ার প্রধানের কন্যা ও প্রতিষ্ঠানটির উপ-প্রধান ছো হিউন আহ। দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা, উপহাস আর জনরোষের মুখে বাপ-বেটি দু’জনেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন; ইতোমধ্যেই প্রাতিষ্ঠানিক সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ফেলেছেন ছো। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায় নি। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার হাতকড়াও পরতে হল ৪০ বছর বয়সী ভদ্রমহিলাকে। নতুন বছরটা তাই তাঁকে স্বাগত জানাতে হচ্ছে চৌদ্দ শিকের ভিতর থেকেই। ঘটনার আলামত নষ্ট করার চেষ্টার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইয়ো নামের কোরিয়ান এয়ারের এক নির্বাহীকেও।
বিমান পরিচালনায় বিঘ্ন সৃষ্টি, আড়াইশ যাত্রীর জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলা ও প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার প্রচেষ্টার অভিযোগে ছো’র বিরুদ্ধে ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সিউল জেলা আদালত। আদালতের আদেশের পর ছো এবং ইয়োকে দক্ষিণ সিউলের একটি কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক থেকে সিউলগামী কোরিয়ান এয়ারের একটি ফ্লাইট বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের প্রস্তুতিকালে বিমানের ভিতর যাত্রীদের খাবার সরবহার করছিলেন কর্মীরা। এ সময় ওই বিমানের প্রথম শ্রেণীতে ভ্রমণরত ছো হিউন সরবরাহকৃত খাবারের প্লেটে বাদাম না থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মীকে তিরস্কার করতে থাকেন। এ নিয়ে হট্টগোলের এক পর্যায়ে কর্মীদের প্রধান ছুটে এলে ছো তাঁর কাছেও জানতে চান যে খাবারের তালিকায় বাদামের নাম থাকলেও কেন সেটা দেয়া হল না। ব্যাখ্যা মনঃপুত না হওয়ায় উত্তেজিত ছো ওই মুহূর্তে কর্মীদের প্রধানকে বিমান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন এবং রানওয়ে থেকে বিমানকে অবতরণের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করেন।
এদিকে ছো’র গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হয় নি কোরিয়ান এয়ার কর্তৃপক্ষ।