পিতৃহত্যার বদলা নিতে স্ত্রীকে খুন করেছেন কোরবান আলী। ২০ বছর আগের ওই ঘটনার জেরে সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ ভুগরইল কালুর মোড় এলাকার নিজ বাড়িতে স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে নিহতের ভাই বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে ১৯৯৫ সালে জেলার পবা উপজেলার দাদপুর এলাকায় জমিজমা বিষয়ে কোন্দলের জের ধরে খুন হন কোরবান আলীর বাবা আশরাফ আলী।
অভিযোগ ছিলো, মর্জিনা বেগমের বাবা ও ভাইয়েরা ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। প্রতিবেশীরা অনেকেই ওই খুনের ঘটনা ভুলতে বসলেও ভুলেননি গুপ্তঘাতক কোরবান। তার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তারা জানিয়েছেন, প্রতিশোধ নিতে ২০ বছর আগে থেকেই শুরু করেন মিশন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মর্জিনা বেগমের সঙ্গে জড়ান পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক। পিতৃহত্যার প্রায় ১০ বছর পর অন্যর সংসার থেকে ভাগিয়ে বিয়ে করেন দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধুকে। বিয়ের পর থেকেই নগরীর শাহ মখদুম থানার ভুগরইল এলাকায় সংসার পাতেন কোরবান ও মর্জিনা দম্পতি। পেশায় কাঠ মিস্ত্রি বিভিন্ন সময় মুড়ি ভাজাও বিক্রি করতেন।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধুর উপর শুরু হয় কোরবানের নির্যাতন । এরই মঝে দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই দম্পতি। কাজের সুবাদে দুই ছেলে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
মাঝে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন কোরবান । এরপর থেকে ওই স্ত্রীকে নিয়ে নগরীর মোল্লাপাড়া গুচ্ছ গ্রামে বাস করতে শুরু করেন। এরপর থেকে একা হয়ে পড়েন মর্জিনা। সোমবার সন্ধ্যারপর তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। তবে রাতে তার স্বামী কোরবান এসেছিলেন। গভীর রাত পর্যন্ত তার বাড়ি থেকে কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনেছেন প্রতিবেশীরা।
শাহ মুখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাড়ির উঠানে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকা- ঘটেছে। তবে ওই গৃহবধুর স্বামী পলাতক থাকায় এ ঘটনায় তিনিই জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজাহার আলী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক কোরবান আলীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।






































